দ্রুত ৫০ হাজার টাকা না পাঠালে ছেলের লাশ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ অক্টোবর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:২৬ পিএম, ৮ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৫

অপহৃত আল আমিন
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা থেকে মো. আল আমিন (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রকে অপহরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে অপহরণ হয় সে।
অপহৃত আল আমিন গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদুখানপাড়ার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় দুদুখানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। নুরুল ইসলামের চার সন্তানের মধ্যে আল আমিন তৃতীয়। তার বাবা ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে গাড়ি চালকের কাজ করেন।
জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো আল আমিন গত মঙ্গলবার বিকেলে সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণে অংশ নিতে বের হয়। পরে সে আর বাড়ি ফেরেনি। ঘটনার তিন দিন পর শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে তার মায়ের মুঠোফোনে অজ্ঞাত স্থান থেকে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। পরে বিষয়টি গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে।
আল আমিনের মা নার্গিস খাতুন বলেন, আল আমিন মঙ্গলবার বিকেলে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে যায়। সে সন্ধ্যা অবধি বাড়ি না ফেরায় তারা অনেক চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও কোনো হদিস মেলেনি।
অপহরণের তিন দিন পর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ তার মোবাইল ফোনে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে এক ব্যক্তি কল দিয়ে অজ্ঞাত স্থান থেকে ছেলেকে তাদের জিম্মায় রাখার কথা জানান। তাকে মুক্ত করতে নগদ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। বলেন, দ্রুত ৫০ হাজার টাকা না পাঠালে ছেলের লাশ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অজ্ঞাত ব্যক্তিরা টাকা না পেয়ে বার বার ফোন দিতেই থাকে। থানায় অভিযোগ দিয়েছি বলে অপহরণকারীরা ক্ষুব্ধ হয়েছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক মো. মনির হোসেন বলেন, আল আমিন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।