avertisements 2

শিশু অর্পাকে ধর্ষণ ও হত্যার পর খুনি নিজেই চাচ্ছিল বিচার 

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ জুন,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪৮ পিএম, ১২ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

শিশু অর্পাকে ধর্ষণ শেষে হত্যার পর নিজেই খুনির বিচার চেয়ে ঘুরাঘুরি করছিল ঘাতক স্বপন। একপর্যায় আটক হয় পুলিশের হাতে।

ধর্ষণের পর পাঁচ বছরের শিশু অর্পাকে হত্যা করে নানান জায়গায় নিজেই খুনের বিচার চেয়ে বেড়াচ্ছিলেন খুনি আনোয়ার হোসেন স্বপন (৩৮)। 

ধর্ষণের ঘটনা মাকে জানিয়ে দিবে বললে পাঁচ বছরের শিশু মিফতাহুল জান্নাত অর্পাকে গলাটিপে হত্যার পর গাছের লতার সাথে হাত পা বেঁধে রেখে যায় স্বপন। শনিবার ঘটনাটি ঘটে ফেনীর দাগনভূঞায়। 

ফেনী পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা জানায়, হত্যার ঘটনায় জড়িত ঘাতক আনোয়ার হোসেন স্বপনকে শনিবার বিকেলেই একই এলাকা থেকে আটক হয়। রোববার বিকেলে ফেনী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান এর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও প্রদাণ করেছে ঘাতক স্বপন।

রোববার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা এসব তথ্য তুলে ধরেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল মোল্লা বলেন, শনিবার সকালে দাগনভুঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের নেয়াজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীর মিফতাহুল জান্নাত অর্পা প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে স্কুলের শ্রেনী কক্ষ থেকে বের হয়। একপর্যায় পাশের বাড়ীর আনোয়া হোসেন স্বপন  তার পিছু নেয় এবং কথা আছে বলে অপ্রার মুখ চেপে স্কুলের পেছনের নির্জন জঙ্গলে নিয়ে যায়। এসময় ঘাতক স্বপন শিশুটিকে একটি গাছের নিচে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি চিৎকার করে মাকে ডাক দেয় এবং বাবা মা কে সব ঘটনা বলে দিবে বললে ঘাতক স্বপন শিশু অর্পার গলা চেপে ধরে। অর্পা অচেতন হয়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে গাছের লতা দিয়ে হাত পা ও গলায় শক্ত করে বেধেঁ পালিয়ে যায় স্বপন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার পর ঘাতক স্বপন হত্যার বিচার চেয়ে ঘটনাস্থলের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করতে থাকে। একপর্যায় স্থানীদের লোকমুখে পুলিশ জানতে পারে ঘটনার আগে ও পরে ঘটনাস্থলে স্বপন ঘুরাঘুরি করছিলো।

পরে পুলিশ তাকে সন্দেহভাজন হিসেব আটকের পর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2