avertisements 2

পেট ও পিঠ কোনোটাই তো রক্ষা পাচ্ছে না

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫৫ এএম, ১৭ মে,শুক্রবার,২০২৪

Text

নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দিশাহারা মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষ। আয়ের তুলনায় ব্যয় বাড়ায় চরম দুর্র্দশায় পড়েছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে কম মূল্যে চাল ও আটা কিনতে খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত ওএমএস দোকান/ট্রাকসেল কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছে এসব শ্রেণির মানুষ। প্রয়োজন থাকলেও লোক লজ্জার কারণে কেউ কেউ এই লাইনেও দাঁড়াতে পারছেন না। সানিউর রহমান। থাকেন মোহাম্মদপুরের ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ এলাকায়। ওএমএস ট্রাকের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একজনের কাছ থেকে চাল ও আটা কিনছিলেন তিনি।

লাইনে না দাঁড়িয়ে চাল কেনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রাজধানীর একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করি। পাশেই সন্তানসহ তিনজনের পরিবার নিয়ে থাকি। কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করার কারণে অনেকে আমাকে চেনে। এ ছাড়া আমার অনেক ছাত্র এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। তাই লাইনে দাঁড়িয়ে চাল ও আটা কিনতে লজ্জাবোধ হয়। এজন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোকে কিছু টাকা বেশি দিয়ে চাল ও ডাল নিচ্ছি। আমাদের অবস্থাটা অনেকটা এরকম যে, না পারি লাইনে দাঁড়াতে, না পারি সইতে।

তিনি বলেন, আমরা যারা বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করি তাদের অবস্থা বর্তমানে খুবই শোচনীয়। করোনা সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় আমাদের বেতন কমেছে। অন্যদিকে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। তিনি বলেন, আমার পরিবারের জন্য প্রতিমাসে ১৮ থেকে ২০ কেজি চাল লাগে। তিন মাস আগে ১২০০ টাকায় যে চাল কিনতাম, চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন আমাকে সে চাল কিনতে হচ্ছে ১৪০০ টাকায়। ফলে প্রতি মাসে আমার অতিরিক্ত ২০০ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে চাল কিনতে। কিন্তু এ সময়ে ব্যয় বাড়লেও আয় কমেছে।

মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্পে দাঁড়ানো ওএমএস’র ট্রাকের দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষায় থাকা স্টেশনারি পণ্য ব্যবসায়ী ইউসুফ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, করোনার কারণে স্টেশনারি ব্যবসায় অনেক লস হয়েছে। ব্যবসা কোনো রকমে টিকিয়ে রেখেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে স্টেশনারি ব্যবসায় লাভ করা যায় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর কিছুদিন ভালো ব্যবসা করেছিলাম। কিন্তু সে টাকা ঋণ পরিশোধ করতেই শেষ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ৫০ টাকা দিয়ে চাল কিনতে গেলে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। এ জন্য ওএমএসের চাল কিনতে এসেছি।

শুধুমাত্র আটা কিনতে আসা উবার চালক শফিকুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, এখানকার আটাটা খেতে ভালো। এ ছাড়া দামও কম। এ জন্য আমি নিয়মিত এখান থেকে আটা কিনতে আসি। ওএমএস তদারককারী কর্মকর্তা মো. নান্নু বলেন, ওএমএসের চাল-আটা কিনতে সব শ্রেণির মানুষকেই আসতে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে কম দাম এবং অন্যান্য আটার চাইতে মান ভালো হওয়ায় এখানকার আটার চাহিদা অনেক বেশি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2