avertisements 2

এখনও গরু বিক্রির অপেক্ষায় বেপারীরা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১৩ এএম, ২৫ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

সেই কোলাহল নেই; কমে গেছে মানুষ ও পশুর আনাগোনা। ভাঙা হাটে গরু বিক্রির আশায় এখনও রয়ে গেছেন কিছু বেপারী। বুধবার (২১ জুলাই) বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা অবধি গাবতলী পশুর হাট ঘুরে এমন করুণ চিত্র দেখা যায়।

ঈদের দিনেও পশুর হাটে রয়ে যাওয়া গরুর বেপারীদের বেশির ভাগ বলছেন, তাদের লোকসান হয়েছে। কয়েকজন বলছেন, লাভ হয়নি, ক্ষতিও হয়নি। গরু বিক্রি করে শুধু টাকা নগদ করেছেন।

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের ‘বাবু অ্যাগ্রো’ থেকে মাঝারি ও বড় আকারের ৬৫টি গরু এনেছিলেন শফিকুল ইসলাম। বিক্রি করতে পেরেছেন ৪১টি। অবিক্রিত ২৪টি গরু নিয়ে গাবতলীর হাটে রয়ে যাওয়া শফিকুল জানান এবারের বাজারে ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬ লাখ টাকা দামের গরু তিনি বিক্রি করেছেন। মোট ৫০ লাখ টাকার গরু বিক্রি হয়েছে তার। কিন্তু এখনো ৫৫ থেকে ৬০ লাখ টাকার গরু বিক্রি করতে পারেননি।

আক্ষেপ করে শফিকুল বলেন, না বেচা গরুগুলা ফিরিয়ে নিতে হবে। খামারে এইগুলারে আবার লালন-পালন করতে হবে। আবার হাটে আনতে হবে। এইবার বেচে যেতে পারলে নতুন করে গরু কিনতে পারতাম। খরচ ও পরিশ্রম মিলিয়ে লাভ হয় নাই, ক্ষতিও হয় নাই—সমান সমান!

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থেকে ৩২টি গরু নিয়ে এসেছিলেন বেপারী আক্তার হোসেন। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ২৭টি গরু। ঈদের দিনে বিক্রি করেছেন আরও চারটি। আর বাকি আছে মাত্র একটি।  

অবিক্রিত গরুটির বিষয়ে আক্তার বলেন, সাড়ে তিন লাখ টাকা গরুটার দাম। এখন দাম চাইছি আড়াই লাখ টাকা। দাম উঠেছে একলাখ সত্তর-আশি হাজার পর্যন্ত। দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা পাইলে বিক্রি করে বাড়ি যাব।

তিনি আরও বলেন, ৩১টি গরু বিক্রি করেছি ৫০ লাখ টাকায়। এর মধ্যে এক লাখ টাকা থেকে শুরু করে চার লাখ টাকার দামের গরু ছিল। এবারের হাটে আমার গরু বিক্রি করে লস হয়েছে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা। আমরা বেপারীরা এবার বউ-বাচ্চা নিয়ে ঈদ করতে পারলাম না!

রাজধানীর হাতিরপুল থেকে গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী খন্দকার গোলাম কবির জানতে পেরেছেন গাবতলীর হাটে গরুর দাম কমে গেছে। গরুর বেপারীরা গরু বিক্রির জন্য এখনও হাটে রয়ে গেছেন। তাই গরু কিনতে এসেছেন জানিয়ে গোলাম কবির বলেন, করোনা মহামারির কারণে এবার অনেক মানুষ কোরবানি দেয়নি। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে অনেক মানুষ আগে গ্রামের বাড়ি চলে গিয়েছে। এসব কারণেই এবার পশুর হাটে গরু কম বিক্রি হয়েছে। গরুর দাম কমে গেছে জানতে পেরে গতকাল একটি গরু কিনেছি আড়াই লাখ টাকা দিয়ে। আজকে আবার গাবতলীর হাটে আসলাম গরু কিনতে। বাজেটের মধ্যে পেয়ে গেলাম একটি গরু। এক লাখ ৫২ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি মাঝারি ধরনের একটি গরু। গতবার গরুর হাটে গরুর দাম বেশি থাকায় দুটি গরু কিনতে পারিনি। গতবারের আশা এবারের ঈদে পূরণ হলো!

আমিনবাজার গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী আফজাল পাটোয়ারী বলেন, গরুর দাম কম শুনতে পেয়ে হাটে এসেছি। কিছু কিছু বেপারী এখনও গরুর দাম ছাড়ছে না। আমি মাঝারি ধরনের গরু কিনবো। আমার বাজেট এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা। বাজেটের মধ্যে পেয়ে গেলে গরু কিনে নিয়ে যাব।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2