avertisements 2

অবশেষে খুলনার নতুন কারাগার চালু আজ, থাকবে পুরানোটিও

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ নভেম্বর,শনিবার,২০২৫ | আপডেট: ০৮:১২ পিএম, ১ নভেম্বর,শনিবার,২০২৫

Text

সংগৃহীত ছবি

দীর্ঘ ১৪ বছরের অপেক্ষার পর খুলনার নতুন কারাগার আজ শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে চালু হচ্ছে। তবে জনবলসংকটের কারণে প্রথম ধাপে পুরানো কারাগার থেকে মাত্র ১০০ বন্দিকে সেখানে স্থানান্তর করা হবে। আজ চারটি প্রিজন ভ্যানে করে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের নতুন কারাগারে নেওয়া হবে। কারা প্রশাসন জানিয়েছে, সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে নতুন কারাগার চালু হলেও পুরনোটিও চালু থাকবে। নতুন কারাগারে খুলনার ৯টি উপজেলার বন্দিদের রাখা হবে এবং পুরনোটিতে থাকবে মহানগর এলাকার বন্দিরা। 

নতুন কারাগার পরিদর্শনে দেখা গেছে, পুরো এলাকায় আধুনিক আবহ—রঙিন ভবন, পাকা রাস্তা, টাইলসের ফুটপাত এবং একাধিক সীমানাপ্রাচীর। বন্দিদের ভবনগুলো পৃথক প্রাচীর দিয়ে ঘেরা; ফলে এক শ্রেণির বন্দি অন্যদের সঙ্গে মিশতে পারবেন না।
প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাচীর কারাগার ঘিরে রেখেছে। ভেতরের ভূমি উন্নয়নকাজও শেষ পর্যায়ে।

খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান জানান, মোট ৫৭টি স্থাপনার মধ্যে বন্দিদের থাকার জন্য ভবন ১১টি। কারাগার কর্তৃপক্ষ সব স্থাপনা বুঝে নিয়েছে এবং ফটকে কারারক্ষী মোতায়েন রয়েছে।

কারা সূত্র জানায়, পূর্ণাঙ্গ জনবল না পাওয়া পর্যন্ত ছয়তলায় পুরুষ হাজতি ব্যারাক ও নারীদের জন্য পৃথক ব্যারাকে বন্দিদের রাখা হবে। প্রথমে কেবল সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদেরই আনা হবে। আদালতে আনা-নেওয়ার ঝামেলা কমাতে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের ব্যারাকও প্রস্তুত।

খুলনার জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান জানান, কারাগার চালাতে ৬০০ জনবল চাওয়া হয়েছে। বর্তমানে ২০৮ জন আছেন এবং নতুন করে ৪৪ জন যোগ দিয়েছেন।
আপাতত এই জনবল দিয়েই দুই কারাগার চালাতে হবে। জেলার মোহাম্মদ মুনীর হুসাইন বলেন, দুটি কারাগারই নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চালু থাকবে।

প্রকল্প কার্যালয় সূত্র জানায়, নতুন কারাগারটি আধুনিক সংশোধনাগার হিসেবে নির্মিত। সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দিদের পৃথক ব্যারাক রয়েছে। কিশোর-কিশোরীদের জন্য আলাদা ভবন, নারীদের জন্য পৃথক হাসপাতাল, মোটিভেশন সেন্টার ও ওয়ার্কশেড। ৫০ শয্যা হাসপাতাল, লাইব্রেরি, ডাইনিং, আধুনিক সেলুন, লন্ড্রি ও কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য স্কুলও রয়েছে। শিশুসন্তানসহ নারী বন্দিদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড ও ডে কেয়ার সেন্টারের সুবিধা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রূপসা সেতু বাইপাস সড়কে প্রায় ৩০ একর জমিতে নির্মাণকাজ শুরু হয় নতুন জেলা কারাগারের। সময় বাড়ানো হয় আট দফা, দুইবার সংশোধনের পর ব্যয় দাঁড়ায় ২৮৮ কোটি টাকায়।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2