avertisements 2

সাজাপ্রাপ্ত আ. লীগ নেত্রীকে গ্রেপ্তারে গভীর রাতে পুলিশের ব্যর্থ অভিযান

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:৫৯ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৫

Text

সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেত্রী লুৎফুন্নাহার লাকী। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের ২৮ মার্চ চেক ডিজঅনার মামলায় এক বছরের বিনাশ্রম সাজা হয় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও নান্দাইল উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক লুৎফুন্নাহার লাকীর। আর তাঁকে ধরতে পুলিশের একটি দলের অভিযান ব্যর্থ হয়। গত শনিবার গভীর রাতে এ অভিযান চলে ময়মনসিংহের নান্দাইলের জাহাঙ্গীরপুরের বাতুয়াদি গ্রামে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাজাপ্রাপ্ত লুৎফুন্নাহার লাকী ওরফে এল নাহার হচ্ছেন নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ওই গ্রামের মো. শামছুল আলম খন্দকারের মেয়ে।
তিনি গত ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পাশের সিংরুইল ইউনিয়নের তেলিয়া গ্রামের আনিছুল হকের মেয়ে নান্দাইল উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য লাভলী আক্তারের কাছে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেন। টাকা দেওয়ার সময় তিনি নিজের মোবাইলেও ধারণ করে রাখেন। পরে দীর্ঘ দিনেও চাকরি না দেওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর নান্দাইল কৃষি ব্যাংক শাখার একটি চেক (চেক নং-৭৮৩৯০২৮) দেন নেত্রী লাকী।

পরে ময়না গত ২০১৯ সালের ৩০ জুন টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক জানায়, ওই হিসাবে কোনো টাকা নেই।
পরে ওই সালে তিনি নান্দাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে আদালত বিভিন্ন সময় নোটিশ পাঠিয়েও কোনো সারা না পেয়ে ‘দি নেগেটিভ ইনস্টোমেন্ট এক্ট-এর ১৩৮ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে পরোয়ানা জারি করেন। তাতেও তিনি হাজির না হওয়ায় আদালত পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেন।
 
পরবর্তীতে তাঁর অনুপস্থিতিতেই ময়মনসিংহ যুগ্ম ও জেলা দায়রা জজ ২য় আদালতে ঘটনা সত্য প্রমাণিত হওয়ায় লুৎফুন্নাহার লাকীকে গত ২৮ মার্চ ২০২৩ সালে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে রায় প্রদান করেন। এর পর থেকেই তিনি পলাতক থাকেন।

মামলার বাদীনি ময়না জানান, তিনি গত শনিবার রাতে খবর পান সাজাপ্রাপ্ত লাকী নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। এই খবর পেয়ে তিনি থানাকে জানালে শনিবার রাতে একদল পুলিশ তাঁর (লাকী) বাড়ি ঘিরে ফেলে অভিযান চালায়। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তাঁকে আর খোঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে মামলার বাদীনি ময়না জানান, তিনি শতভাগ নিশ্চিত হয়েই পুলিশের সঙ্গে তিনিও অভিযানে ছিলেন। কিন্তু চোখের সামনে কি থেকে কি হলো তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান কালের কণ্ঠকে জানান, সাজাপ্রাপ্ত লাকীর নামে থানায় আরো পাঁচটি ওয়ারেন্ট আছে। তাঁকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবার রাতে খবর পেয়ে লাকীর বাড়িতে গেলেও তাকে পুলিশ পায়নি। গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2