avertisements 2

‘জয় বাংলা, জয় জনতা’ স্লোগানে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:১৯ এএম, ৮ মে, বুধবার,২০২৪

Text

‘জয় বাংলা, জয় জনতা’ স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে’ আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক দল 'বাংলাদেশ মাইনরিটি পিপলস পার্টি'। ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালনকারী মানুষের মৌলিক ও রাজনৈতিক দাবিসমূহ বাস্তবায়নে রাজনীতির মূলধারায় স্বপক্ষে জনমত সুসংগঠিত করা’ ও ‘বঞ্চিত-শোষিত গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার করাই’ এই নতুন রাজনৈতিক দলটির সংকল্প বলে দাবি এর নেতাকর্মীদের।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দলটি আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হয়। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার।

আয়োজনে নতুন এই দলটির ১৫১ সদস্যের কমিটির মধ্যে ২১ জনের নাম ঘোষণা করা হয়; যেখানে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন শ্যামল কুমার রায় এবং সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার চক্রবর্তী। এসময় আয়োজনে দলের অন্য সদস্য এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।


আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু দেশের বিচারবিভাগ স্বাধীন নয়, অর্থনীতি স্বাধীন নয়। বাংলার হিন্দু, বাংলার মুসলিম, বাংলার বৌদ্ধ, খ্রিস্টান; আমরা সবাই বাঙালি- এই ঐতিহাসিক জাতীয়তাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এই নতুন পথচলা। দেশের গণতন্ত্র ‘প্রগতিমনা এবং অসাম্প্রদায়িকভাবে’ এগিয়ে নিতে পারবেন বলেও সভায় নতুন এই দলের নেতারা আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠান শেষে নতুন এই দলটি তাদের ইশতেহার তুলে ধরে। তাদের ইশতেহারগুলো হলো- মহান জাতীয় সংসদে মাইনরিটি জনগোষ্ঠীর যথাযথ অংশীদারিত্ব ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থায় সার্বজনীন ভোটের মাধ্যমে দেশের মাইনরিটি অধ্যুষিত প্রতিটি সংসদীয় আসনে একটি করে সংসদ সদস্যপদ সংরক্ষিত করা; স্থানীয় সরকার প্রশাসনের সর্বনিম্ন স্তরসহ সকল পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিটি কাঠামোতে ২০ ভাগ মাইনরিটি আসন সংরক্ষণ করা; ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করে উক্ত মন্ত্রণালয়ে উল্লেখিত মাইনরিটিদের মধ্য থেকে একজন পূর্ণ মন্ত্রী ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্টগুলোকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তরিত করা।


এছাড়া পাহাড় ও সমতলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান করা; বাংলাদেশে বিদ্যমান সকল ধর্মীয় মতবাদ/সম্প্রদায়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমুহ রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করা; মাইনরিটি নির্যাতন প্রতিরোধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন ও তা কার্যকর করা; বর্ণ বৈষম্যগত কারণে সমাজের পিছিয়ে পড়া নৃ-গোষ্ঠী অবহেলিত জনগণের সামগ্রিক কল্যাণে সকল প্রকার সামাজিক বৈষম্য নিরসনে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা; জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমের সকল পর্যায়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতিফলনপূর্বক পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও পাঠদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে মেধা ও জ্ঞানভিত্তিক রাজনৈতিক ধারা প্রবর্তন করা; মাইনরিটি জনগোষ্ঠীর দেশত্যাগ প্রবণতা রোধকল্পে সর্বাত্মকভাবে এই সংগঠন কাজ করে যাবে।

সর্বোপরি ১৯৭২ সালের মূল সংবিধান পুনর্বহাল ও তা সংরক্ষণে মাইনরিটি পিপলস পার্টি সর্বদা সোচ্চার থাকবে বলে জানানো হয়। এছাড়া আগামী নির্বাচনে এই দলটি অংশগ্রহণ করবে বলেও জানানো হয় এসময়।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2