avertisements 2

নিজেই শপথ পড়ে মেয়রের চেয়ারে বসার হুঁশিয়ারি ইশরাকের

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ জুন, বুধবার,২০২৫ | আপডেট: ০৮:৪৬ এএম, ৬ জুন,শুক্রবার,২০২৫

Text

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে সরকার শপথ না পড়ালে ঢাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে মেয়রের চেয়ারে বসবেন বলে সরকারকে শেষ বার্তা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, বহিরাগত কোনো প্রশাসক, উপদেষ্টাকে নগর ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না, প্রয়োজনে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রশাসক বসানো হবে, এটা শেষ কথা।

গতকাল নগর ভবনের প্রধান ফটকের নিচে মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলনে অংশ নেওয়া সমর্থকদের মাঝে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন ইশরাক।

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন অন্তর্বর্তী সরকার এবং তার কতিপয় উপদেষ্টা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে আমাদের এই নির্বাচনের রায়ের পরে টালবাহানা করেছে।

আমাকে শপথ না পড়ানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতাকে তারা অসম্মান করেছে। তারা আইন-আদালত মানে না। তারা নির্বাচন কমিশন মানে না। তারা সংবিধান মানে না, তাহলে তারা মানে টা কি? এই বাংলাদেশের মানুষ, আমরা যদি কাল থেকে তাদের না মানা শুরু করি, তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে নেবে।

আন্দোলন শিথিল : পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে নগর ভবন ঘেরাও এবং অবস্থান কর্মসূচি শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। শপথ পড়ানোর দাবিতে প্রায় ২১ দিন ধরে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছেন ইশরাক সমর্থকরা।

তিনি বলেন, ‘সামনে ঈদ, জনগণের ভোগান্তি ও জনগণের যাতায়াতের কথা মাথায় রেখে, আমরা বর্তমান নগর ভবনের অবরোধ এবং ঘেরাওয়ের কর্মসূচি কিছুটা শিথিল, কিছুটা বিরতি দিয়েছি। পরবর্তী সময়ে ছুটির পরে, শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা না এলে ঢাকা দক্ষিণের সর্বস্তরের জনগণকে সামনে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে ঢাকাবাসীর ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।

যে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে, এর পুরো দায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এবং বর্তমান স্থানীয় সরকারের উপদেষ্টা এবং স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তাদের ওপর বর্তায়। তারা সরাসরি সংবিধান লঙ্ঘনের মাধ্যমে আইন অবজ্ঞা করেছে সর্বোচ্চ আদালতকে অবমাননা করেছে। ’
প্রসঙ্গত গত ২৭ মার্চ নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ও ঢাকা প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন তাঁকে মেয়র হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে। তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সেই গেজেট বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়নি।

২৯ মে আপিল বিভাগ ইশরাক হোসেনের শপথ ঠেকাতে করা আপিল খারিজ করে দেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। গত সোমবার নির্বাচন কমিশন জানায়, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণার বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা রায়ের কপি হাতে পেলে সে অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে। তবে এখন পর্যন্ত সেসবের কিছুই হাতে পায়নি ইসি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2