avertisements 2

ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১১:০৪ পিএম, ৪ মে,শনিবার,২০২৪

Text

দোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। এটি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। যারা তাঁর কাছে দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য চায়, তিনি তাদের ওপর খুশি হন, আর যারা চায় না, তিনি তাদের ওপর রাগান্বিত হন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের রব (আল্লাহ) বলেন, তোমরা আমার কাছে দোয়া করো, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ধরনের লোকের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ১. রোজাদার যখন ইফতার করে, ২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া, ৩. মজলুমের দোয়া। মজলুম ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ মেঘমালার ওপর উঠিয়ে নেন এবং এ জন্য আসমানের সব দরজা খুলে দেওয়া হয়। আল্লাহ বলেন, আমার ইজ্জতের কসম! আমি তোমাকে অবশ্যই সাহায্য করব, যদিও তা কিছুকাল পরে হয়। ’  (তিরমিজি, হাদিস  : ৩৫৯৮)

ন্যায়পরায়ণতা শাসকদের অন্যতম গুণ। মহান আল্লাহ নিজেই একজন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ। কিয়ামতের বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে গোটা সৃষ্টিজগতের সামনে তিনি ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পেশ করবেন। এ ব্যপারে কোরআনে আল্লাহ নিজেই ঘোষণা করেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ কারো ওপর অনুপরিমাণও জুুলুম করেন না। ’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৪৪)

আর যারা ন্যায় ও ইনসাফের সঙ্গে বিচারকার্য পরিচালনা করে, তাদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর ভালোবাসা। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তারা ফিরে আসে তবে উভয় দলের মধ্যে ন্যায়ের সঙ্গে মীমাংসা করে দাও এবং সুবিচার করো, নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবসেন। ’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ৯)

সাধ্যমতো ইনসাফ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা প্রতিটি শাসকেরই কর্তব্য। কারণ মহান আল্লাহ অন্যায়-অত্যাচার পছন্দ করেন না। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি হলো, অত্যাচারী। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘চার ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা অপছন্দ করেন— ১. অধিক হারে শপথকারী বিক্রেতা;  ২. অহংকারী দরিদ্র; ৩. বৃদ্ধ ব্যভিচারী এবং ৪. অত্যাচারী শাসক। (নাসায়ি, হাদিস : ২৫৭৬)

বিশ্বস্ততা শাসকসহ সব শ্রেণির মানুষের জন্য অপরিহার্য গুণ। পবিত্র কোরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা যাদের সফলতার স্বীকৃতি দিয়েছেন তাদের অন্যতম হলেন, যারা আমানতের ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘এরা সেই লোক, যারা আমানতের প্রতি লক্ষ রাখে এবং স্বীয় অঙ্গীকার হেফাজত করে। ’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ৮)

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2