লকডাউনে হয়রানির অভিযোগ ২ চিকিৎসকের
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:২৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২৫

সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনেই বাইরে বের হয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজধানীর দুই চিকিৎসক। বুধবার (১৪ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই দুই চিকিৎসক অভিযোগ করেন, লকডাউনে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে পুলিশের কাছে 'বিব্রতকর' অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। এজন্য তাদেরকে জরিমানাও গুণতে হয়েছে।
দুই চিকিৎসকের একজনের নাম কৃষ্ণা হালদার। কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের একজন মেডিকেল অফিসার তিনি। অভিযোগকারী অন্যজন রাজধানীর পান্থপথের একটি হাসপাতালের চিকিৎসক।
ফেসবুকে চিকিৎসক কৃষ্ণা হালদার অভিযোগ করে লিখেন, গতরাতে কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে আমার নাইট শিফটে ডিউটি ছিল। সকালে আমাকে আমার ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার পিক আপ করার সময় কারওয়ানবাজার সিগনালে ড্রাইভার আমার আইডি কার্ড দেখানোর পরেও পুলিশ মামলা করে, জরিমানা করে, সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি তেজগাঁও থানা ও ট্রাফিকের ডিবি পুলিশের কার্যালয় গেলেও কেউ কোনো সহযোগিতা পাইনি। মুভমেন্ট পাস বের করতে পারিনি। এমতাবস্থায় কভিড ডিউটি করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে আমার জন্য।
একইরকম অভিযোগ করেছেন এক নারী চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন তার স্বামী (চিকিৎসক) হাসপাতালে যাওয়ার পথে হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে।
ফেসবুকে ওই নারী চিকিৎসক লিখেছেন, আমার স্বামী স্কয়ার হাসপাতালে কোভিড ইউনিটে কর্তব্যরত আছেন। আজ সকাল ৮টা থেকে তার ডিউটি ছিল। আমাদের বাসায় আমার শ্বশুর কোভিড পজেটিভ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাই আমার স্বামী (মুন্সীগঞ্জ) থেকে নিজের গাড়ি নিয়ে ডিউটিতে যাচ্ছেন বেশ কিছুদিন যাবৎ। আজ সকালে আমাদের গাড়ি সাইনবোর্ডের একটু পরে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে ৩০০০ টাকা জরিমানা করে। আমার হাসব্যান্ডের সাথে তার কর্মস্থলের আইডি কার্ড ছিল। তাতেও কোনো কাজ হয়নি বলে জানান ওই নারী চিকিৎসক।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

চলন্ত প্রাইভেটকার থেকে ভ্যানিটিব্যাগে টান, হিঁচড়ে টেনে নিয়ে গেল নারীকে

ঢাকায় সক্রিয় নারী পাচারকারী চক্রের ভয়ংকর সিন্ডিকেট

‘ক্রসফায়ারের ভয়’ দেখিয়ে ৪ কোটি টাকা নেন সিআইডির কর্মকর্তারা: মেডিকোর মালিক

মডেল মেঘনা-সৌদি রাষ্ট্রদূত: পরিচয় আট মাসের, চার মাসে ‘বাগদান’
