৪৩ কোটি টাকায় বাড়ি নির্মাণ নিয়ে যা বললেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩১ অক্টোবর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫২ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৫

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই জনপ্রশাসনের শীর্ষ দুই পদের জন্য ৪৩ কোটি টাকায় বাড়ি নির্মাণ করার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এমন কথা বলেন। সোমবার (৩১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকশেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গণপূর্ত অধিদফতরের (পিডব্লিউডি) বক্তব্য হলো, আস্তে আস্তে মিন্টো রোডের বাড়িগুলো ডিমোলিশড (ভেঙে ফেলা) করে দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এগুলো খুবই পুরনো বাড়ি। এগুলো মুখ্যসচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাড়ির বিষয় না, সব বাড়ি আস্তে আস্তে ভেঙে ফেলা হবে।
তিনি জানান, সংসদ উপনেতার বাড়ি এরমধ্যে ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। কারণ এগুলো সেই ১৯৪০, ১৯৪৫ সালের বাড়ি। বাড়িগুলো একটা একটা করে সব নতুন করে তৈরি করা হবে। এটা নতুন বাড়ি করা বলার চেয়ে প্রধানত সেই জায়গাটায় জোর দেয়া উচিত ছিল।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেহেতু মুখ্যসচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাসায় অফিস আছে, সেহেতু তাদের বাসা যাতে এয়ারমার্কড করে দেয়া হয়। আর এটি ছিল একটি প্রাথমিক বিষয়, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু আসেওনি। আর কোনো ধরনের সুইমিং পুলের কথা পরিষ্কার করে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি সুইমিং পুল করতেই হয়, তাহলে ওখানে কয়েশ’ বাড়িঘর আছে, তাদের সবার জন্য একটি সুইমিং পুল করা যায় কি-না।
সুইমিং পুল তো রক্ষণাবেক্ষণ করা খুবই কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি। সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাড়িতে বাড়িতে সুইমিং পুল করে রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে না। ওখানে যে ৫০০-৬০০ কর্মকর্তা আছেন, তাদের সবার জন্য কমন (অভিন্ন) কোনো সুইমিং পুল নির্মাণ করা যায় কি-না; সেটা বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সেখানে যাদের অ্যালটমেন্ট (বাড়ি বরাদ্দ) আছে, তারা ও তাদের সন্তানরা ওখানে সাঁতার কাটার সুযোগ পাবেন। কারণ অফিসার্স কোয়ার্টারসে তো বাইরের লোক আসতে পারবেন না।
তিনি জানান, আর এটা আলোচনায় আসছে তিন-চার বছর আগে। আর তা নির্দিষ্ট করে কারও বাড়ি করার জন্য না। এমনকি ইস্কাটন গার্ডেন অফিসার্স কোয়ার্টারে যে ছয়টি বড় ভবন আছে, এগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এগুলো সেই ১৯৫০ সালের সময়ের বাড়ি। আসলে সবগুলোই আসলে নতুন করে নির্মাণ করতে হবে।
এরআগে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের জন্য ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাসভবন নির্মাণ করার প্রকল্প গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটির ব্যয় ৫০ কোটি টাকার নিচে হওয়ায় পরিকল্পনামন্ত্রী নিজ ক্ষমতাবলে এটি অনুমোদন করতে পারবেন।
প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুসারে, প্রতিটি ভবন হবে তিন তলা, সাড়ে ১৮ হাজার বর্গফুটের। প্রতিটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হবে সাড়ে ২১ কোটি টাকা করে। এর মধ্যে প্রতিটি বাসভবনে দুই সেট সুইমিং পুল হবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

‘হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদি মেরে ফেললেও আশ্চর্য হব না’

সেনা কর্মকর্তাদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়েই সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্য: আইকেবি

ডিসি সারোয়ার আলমকে নিয়ে আইন উপদেষ্টার আবেগঘন পোস্ট

মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে: প্রধান উপদেষ্টা
