avertisements 2

প্রায় ২০ লাখ মৃত ব্যক্তি ভোট দিয়েছিলেন: সিইসি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ মে,রবিবার,২০২৫ | আপডেট: ০৮:২৫ পিএম, ১৮ মে,রবিবার,২০২৫

Text

ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০ লাখের বেশি মৃত ব্যক্তির নামে ৩টি জাতীয় নির্বাচনে ভুয়া ভোট দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ভুয়া ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ মদদপুষ্ট তিন কমিশন। 


সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে আক্ষেপ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিন।

তথ্যসূত্র বলছে, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ- এ তিন জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি দেশের ১২ কোটির বেশি ভোটার, যার মধ্যে নতুন ভোটার ছিল সাড়ে চার কোটি। যে কারণে তিনটি নির্বাচনই ‘ভুয়া’ হিসেবে বিতর্কিত। ওই নির্বাচনগুলোয় ভোট দিতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে পুরোনো তালিকার ভোটারদেরও।

তবে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) আশা করছে, আগামী নির্বাচনে ভোটারদের দীর্ঘদিন ভোট না দিতে পারার আক্ষেপ এবার ঘুচবে। ইসির বলছে, ‘নতুন-পুরোনো সব ভোটারই এবার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। তাদের এমন মন্তব্যের পর দেশের নবীন-প্রবীণ ভোটাররা ভোট দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

গত তিন নির্বাচনে জীবিত ভোটারদের সরব উপস্থিতিও কম ছিল। তবে মৃত ব্যক্তিদের পক্ষ হয়ে ভোট দিতে সরগরম ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দোসররা। আর এ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ মদতপুষ্ট তিন কমিশন। তারা ভোটার তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তিদেরও বাদ দেয়নি; যার সংখ্যা ২০ লাখের বেশি।

এবার সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। হালনাগাদ করা তালিকা থেকে বেরিয়ে আসা বিপুলসংখ্যক মৃত ভোটারকে বাদ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে সিইসি এ এম এম নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘ওরা কবরবাসী ভোটার। কবর থেকে এসে ভোট দিয়েছেন। মৃত ভোটার আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। এর সংখ্যা ২০ লাখের বেশি।’

স্থানীয় সংস্কার কমিশনের আহ্বায়ক ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিগত ৩টি নির্বাচন ছিল প্রহসনের। তাই ভোটদানে মানুষের আগ্রহ ছিল না। তবে নির্বাচন ব্যবস্থায় নানা সংস্কার ও হালনাগাদের পর নতুন একটি নির্ভুল ভোটার তালিকার মাধ্যমে আশা করা যায় মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্র যাবে। ভোটটি উৎসবমুখর হবে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2