জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল
                                    
                                    
                                        
                                            ডেস্ক রিপোর্ট
                                        
                                    
                                   
                                     প্রকাশ:  ১২:০০ এএম,  ২৮ আগস্ট,
                                    বুধবার,২০২৪ | আপডেট:  ১২:৩৭ এএম,  ৩১ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২৫
                                
 
                        
                    ফাইল ছবি
জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত কোটা সংস্কার আন্দোলন, সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিলে গত ১ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও অন্য অঙ্গসংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নিষিদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ৫ আগস্ট তৎকালীন সরকারের পতন হয় এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে সেনাপ্রধানসহ রাষ্ট্রপতির দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করার ক্ষেত্রেও জামায়াতে ইসলামী গুরুত্বপূর্ণ, তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পলন করে। কার্যত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বর্তমান সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিভিন্ন উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে।
নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের মামলাটি আপিল বিভাগে পুনরুজ্জীবিত করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
তিনি বলেছেন, ‘নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপিল বিভাগে আবেদন করে নিবন্ধন মামলাটি পুনরায় শুনানি করার জন্য আবেদন করব। আমরা আশা করি, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আইনগতভাবে ফিরিয়ে দেবেন।’
উল্লেখ্য, এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াত। গত বছরের ১৯ নভেম্বর সেই আপিল খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।


 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                    


