avertisements 2

ডিসি-এসপির চামড়া তুলে নেব আমরা, স্লোগান কাদের মির্জার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২ জুন, বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:১৮ এএম, ৬ মার্চ, বুধবার,২০২৪

Text

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে সাতজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে অনুসারীদের নিয়ে মিছিল করেছেন। লাঠি হাতে মিছিল থেকে স্লোগান দিয়েছেন, ‘ডিসির চামড়া তুলে নেব আমরা, এসপির চামড়া তুলে নেব আমরা।’ আজ রবিবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় মেয়র কাদের মির্জার নেতৃত্বে মিছিলটি বসুরহাট বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু চত্বরে প্রতিবাদ সভা করে।

মিছিলটি বসুরহাট বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণের সময় কাদের মির্জাকে লাঠি হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তৃতা করেন কাদের মির্জা। এ সময় তিনি মাইকে স্লোগান ধরেন, ‘ওসি রইন্যার (ওসি মীর জাহেদুল হক রনি) চামড়া তুলে নেব আমরা’, ‘শামিমের (এএসপি শামিম কবির) চামড়া তুলে নেব আমরা’, ‘ইউএনওর চামড়া তুলে নেব আমরা’, ‘ডিসির চামড়া তুলে নেব আমরা’, ‘এসপির চামড়া তুলে নেব আমরা’।

কাদের মির্জা এ সময় তার অনুসারীদের নিজ নিজ এলাকায় সংগঠিত হয়ে মিছিল-সমাবেশ করার নির্দেশ দেন। এতে কেউ বাধা দিলে তা প্রতিহত করারও নির্দেশ দেন। বড় ভাই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় পৌরসভা চত্বরে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। কাদের মির্জা বলেন, এখানে প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। ডিসি-এসপির নির্দেশে টাকার জন্য প্রশাসন তাদেরকে সমর্থন দিচ্ছে। ওরা এমপি একরামের রাজত্ব এখানে কায়েম করতে চায়।

কাদের মির্জা তার প্রতিপক্ষের কয়েকজন নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করে অনুসারীদের নিজ নিজ এলাকায় সংগঠিত হয়ে মিছিল সমাবেশ করার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথা এখন বললাম না। আমার সঙ্গে যে সব ওয়াদা করেছেন, সেগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পূরণ করেন। না হলে আপনার বিরুদ্ধেও চলবে, আপনার বউয়ের বিরুদ্ধেও চলবে। ছাড়ি (ছেড়ে) দেব না।

কাদের মির্জা বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের সঙ্গে আমার কিছু দূরত্ব ছিল তাও কেটে গেছে। প্রশাসন আমাকে ও আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবকে সরিয়ে কোম্পানীগঞ্জে একরামের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। প্রশাসন একতরফা তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমরা রক্ত দিয়ে হলেও প্রতিরোধ করবো। কাদের মির্জা বলেন, আমি (আমার) আমেরিকায় ৯ তারিখে যাওয়ার কথা ছিল। আমি মরে গেলে, এ দেশে চিকিৎসা করে মরে যাব। দরকার হলে আমেরিকা যাব না, তাও এর শেষ দেখে ছাড়বো।

ইতোমধ্যে সহিংসতায় স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। অর্ধশতাধিক মামলায় গ্রেফতারও হয়েছেন শতাধিক নেতাকর্মী। সর্বশেষ গত শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় কাদের মির্জার ৯ অনুসারী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমতাবস্থায় বসুরহাটে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2