avertisements 2

আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নূরুল আজাদের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০১৯ | আপডেট: ০১:০৮ পিএম, ৫ মে,রবিবার,২০২৪

Text

অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রিয় মুখ, প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী সমাজের পথিকৃত কমিউনিটির অন্যতম অভিভাবক, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া’ শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ‘স্বদেশ বার্তা’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক নূরুল আজাদের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। সৎ, নির্লোভ বহুমাত্রিক কৃতিত্বের অধিকারী একজন আলোকিত মানুষ, যিনি সারা জীবন অসহায় মানুষ ও সমাজের জন্য নিরবে-নিভৃতে কাজ করে গেছেন। সমাজকে আলোকিত করার এক মহাকর্মযজ্ঞে তিনি ব্যস্ত থেকেছেন সারাটি জীবন।

বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী আলোকিত মানুষটির ছিল সব শ্রেণির মানুষকে আপন করে নেয়ার অসাধারণ গুণ । খোলা মনে তিনি সকলের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমিয়ে শুরু করেছিলেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। যাত্রা শুরু করার পর আর তাঁকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে গেছেন শীর্ষ পর্যায়ে। সোনার হরিণের খোঁজে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমানো স্বদেশীদের কর্মসংস্থানেও সবার প্রিয় এ ‘নূরুল আজাদ ভাই’ ছিলেন নির্ভরতার প্রতীক।

অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের পরে তিনি ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া’-কে সুসংগঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি  আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। অস্ট্রেলিয়া প্রথম তার নেতৃত্বে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ মেলা যাত্রা শুরু করে। প্রতি বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন গুণী শিল্পীদের নিয়ে তিনি এ মেলা উদযাপন করতেন। খেলাধুলার প্রতি ছিল তার অন্য রকম ভালোবাসা। নিজে অংশগ্রহণ করে পরবর্তীতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে প্রতি বছর কৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন, যা বর্তমানে ‘নূরুল আজাদ গোল্ডকাপ’ নামে পরিচিত।

অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলা ভাষার প্রথম পত্রিকা ‘স্বদেশ বার্তা’ প্রকাশ করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর আমন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়া সফর কালে তার হাতেও ‘স্বদেশ বার্তা’ পত্রিকা তুলে দেন । ‘কচুয়া ফাউন্ডেশন ঢাকা’ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান পৃষ্টপোষকতাও তিনি। নিজ উপজেলায় প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় তাঁর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি একাধারে গরীব-দুঃখী মানুষের আপনজন ও সমাজসেবক হিসেবে সবার কাছে খুবই প্রিয়জন ও পরিচিত ছিলেন। নূরুল আজাদ কচুয়া উপজেলার একটি নাম, একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সংগঠন, একজন সমাজসেবক সবার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পাত্র হিসেবে নিজেকে শীর্ষে পৌছে নিয়ে গিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তিনি পরলোক গমন করে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি তথা নিজ জন্মভূমির মানুষের মধ্যে যে শূণ্যতা তৈরি করে গেছেন তা আজও অপূরণীয়। 

এই মহান মানুষের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে মরহুমের জন্মস্থানের মানুষের আয়োজনে এক স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। স্মরণ সভাটি ১১ সেপ্টেম্বর, বুধবার অনুষ্ঠিত হবে মরহুমেরই প্রতিষ্ঠিত কলেজ ‘নূরুল আজাদ কলেজ’ মাঠ প্রাঙ্গনে, যেখানে তাঁর প্রতিষ্ঠিত আরো দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে মনপুরা বাতাবাড়িয়া জাফর আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও ১৩৭ নং বাতাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

স্মরণ সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিববর্গ মরহুমরের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করবেন। তাঁর জন্মভূমির এক ব্যক্তি বলেন, ‘নূরুল আজাদ ছিলেন আমাদের এলাকার ক্ষণজন্মা পুরুষ, যার মধ্যে দেশপ্রেম ও শিক্ষাপ্রীতি ছিলো অসামান্য। তিনি তাঁর জীবনকে ব্যয় করেছেন মানবতার সেবায়, তাকে আমরা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি’।

নূরুল আজাদের সুযোগ্য পুত্র ফয়সাল আজাদ বাবার স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে বলেন, ‘আমার বাবা সব সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আজীবন বুকের মাঝে ধারণ করেছেন এবং মাতৃভূমির জন্য সারা জীবন সাধ্যমত করে গেছেন’। মরহুমের স্মরণ সভায় তাঁর পুত্র আত্মীয়-পরিজনসহ স্থানীয় এলাকাবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন। তার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীকে বাংলাকথার পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2