avertisements 2

কোমরজল ঠেলে ৭৫টি বাড়ি গিয়ে পোলিয়ো খাওয়ানোর পারিশ্রমিক ৭৫ টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৩৫ পিএম, ৮ মে, বুধবার,২০২৪

Text

আকাশের মুখ আচমকা ভার। গতিক ভাল নয় দেখে বেগুনি রঙের শাড়ি পরা প্রৌঢ়া হাঁক ছাড়লেন, ‘‘কই গো, গেলে কোথায়? বাচ্চাকে বের করো...!’’

কিন্তু ক্যানিং ১ ব্লকের রবীন্দ্রনগর দিয়ে বয়ে চলা ঘুটিয়ারি শরিফ খাল আর তার পাশের রাস্তা তো মিলেমিশে একাকার। তাই তিন বছরের নাতিকে নিয়ে আসতে ভয় পাচ্ছিলেন মনরা মোল্লা। তাঁকে আসতে বারণ করে জল ঠেলে এগিয়ে গেলেন প্রৌঢ় আশাকর্মী মণিকা বিশ্বাস দাস। জলের গভীরতা ক্রমশ বাড়ছে। তা কতটা, ঠাহর করতে না পেরে মণিকার সঙ্গী লতা হালদার মাথায় তুলে নিলেন পোলিয়ো টিকার বাক্স।

দিদিরা বাড়ির কাছে যেতেই কোমর সমান জলে এগিয়ে গেলেন মনরা-ও। প্রতিষেধক খাওয়ানো শেষ হতে না হতেই বৃষ্টি। মনরা বললেন, ‘‘সাবধানে যাও গো দিদি, তোমরাই তো আমাদের ভরসা।’’ ভিজে চুপচুপে শাড়ির আঁচলে মাথা ঢাকার ফাঁকেই মণিকা বললেন, ‘‘ঠিক মতো হাঁটতে পারি না, হাই ব্লাডপ্রেশার। কিন্তু মা-বাচ্চাগুলোকে বড্ড ভালবেসে ফেলেছি। তাই না এসে পারি না।’’

রাজ্য জুড়ে চলছে পাঁচ দিনের পোলিয়ো টিকাকরণ কর্মসূচি। মঙ্গলবার ছিল তারই তৃতীয় দিন। এ দিন শুধু কোমর সমান নয়, প্রায় গলা পর্যন্ত জলে নেমেও বাচ্চাদের প্রতিষেধক খাওয়াতে পিছপা হননি ক্যানিং-১ ব্লকের আশাকর্মী, এএনএম (অক্সিলারি নার্স মিডওয়াইফ)-রা। রবিবার প্রকাশ্যে এসেছিল ক্যানিং-২ ব্লকের সিংহেশ্বর গ্রামে জলের মধ্যে হাঁড়িতে শোওয়ানো সদ্যোজাতকে আশাকর্মীর প্রতিষেধক খাওয়ানোর ছবি। মঙ্গলবার ক্যানিং-১ ব্লকের রবীন্দ্রনগর নবপল্লি সাব সেন্টার, পিয়ালি ছাটুইপাড়া ঘুরে চোখে পড়ল একই দৃশ্য।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2