‘মুক্তিযোদ্ধাদের বয়সসীমা নিয়ে হাইকোর্টের রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২৫ | আপডেট: ১২:২৬ পিএম, ১ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৫

সংগৃহীত ছবি
১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আপিল বিভাগকে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চকে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই রায়ে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রায়ে শেখ মুজিবকে গ্লোরিফাই করা হয়েছে অথচ বাস্তবতা ভিন্ন।
পরে আপিল বিভাগ মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নিয়ে ফের শুনানির জন্য ১২ মার্চ দিন ধার্য করেন।
এর আগে মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৩টি গেজেট প্রকাশ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এসব গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা হতে হলে ১৩ বছর এবং সর্বশেষ গেজেটটিতে ১২ বছর ৬ মাস বয়স নির্ধারণ করা হয়।
পরে এসব গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৫টি রিট করা হয়।
সেই রিটের পর জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ১৯ মে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।
ওই রায়ে মুক্তিযোদ্ধা হতে বয়স ন্যূনতম ১২ বছর ৬ মাস নির্ধারণ করে জারি করা গেজেট ও আইনের ধারা অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
এই রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বয়সের ফ্রেমে বাধা যাবে না।’
এ রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে যায় রাষ্ট্রপক্ষে কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সেই রায় স্থগিত করেন চেম্বার আদালত ও আপিল বিভাগ।