avertisements 2

ডিমের বাজারে গায়েবি এসএমএস কেন?

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ আগস্ট,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:৩৬ এএম, ৫ মে,রবিবার,২০২৪

Text

খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রয় হইতেছে ১৭০ টাকায়। অর্থাৎ একটা ডিমের দাম ১৪ টাকারও অধিক। মাছ-মাংসের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ আমিষের চাহিদা মিটাইতে শুধু ডিমের উপর নির্ভরশীল হইয়া পড়িয়াছে। কিন্তু ডিমের মূল্য উর্ধ্বমুখী হওয়ায় তাহারা আমিষ হইতে বঞ্চিত হইতেছে: সংসারের ব্য়য় নির্বাহেও রীতিমতো হিমশিম খাইতেছে। প্রাণিখাদ্যের দর কিছুটা বাড়িবার কারণে উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়াছে, সত্য। তাই বলিয়া যেইভাবে ডিমের মূল্য ক্রমবর্ধনশীল, তাহা অযৌক্তিক। ইহার জন্য পাইকারি ব্যবসায়ী ও খামারিরা একে অপরকে দায়ী করিতেছেন।

রবিবার সমকালে প্রকাশিত সংবাদ ভাষ্য অনুযায়ী খামারিদের দাবি, খামার পর্যায়ে প্রতিটা ডিম বিক্রয় হইতেছে ১১ টাকা ৫০ পয়সায়। কাজেই খুচরা বাজারে ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১৩ টাকা হওয়া উচিত। তবে খামারিদের এই দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলিয়াছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাহারা বলিয়াছেন, খামার হইতে প্রতিটা ডিম ক্রয় করিতে ব্যয় হইতেছে ১২ টাকা ২০ পয়সা হইতে ১২ টাকা ৪০ পয়সা।

পাইকারি ব্যবসায়ী ও খামারিরা যখন একে অপরকে দুষিতেছেন, ইত্যবসরে মধ্যস্বত্বভোগীরা ঠিকই ভোক্তাদের পকেট কাটিতেছে। ভোক্তারা আর কতকাল সিন্ডিকেটের হস্তে জিম্মি হইয়া থাকিবে? যখনই কোনো পণ্যের দাম বাড়িতে থাকে, তখনই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানির হুঁশিয়ারি দিয়া দায়িত্ব সম্পাদন করে। আমদানি করিলে যে সেই পণ্যের মূল্য হ্রাস পায়– তাহা কাঁচামরিচের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হইয়াছে। এই দফায়ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে হয়তো বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সেই পথে হাঁটিবে।

ক্যাবের সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন সমকালকে বলিয়াছেন, ডিমের কারসাজির জন্য প্রান্তিক খামারিরা করপোরেট গ্রুপকে দায়ী করিলেও ‘গায়েবি এসএমএস’ দিয়া সমগ্র দেশে একই মূল্য নির্ধারণ করা হইতেছে। গত বৎসরের এই সময়ে কারসাজির জন্য কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হইলেও তাহাদের শাস্তির বেষ্টনীতে আনা যায় নাই।

সরকারের এত সংস্থা ক্রিয়াশীল, ইহার পরও গায়েবি এসএমএস এবং কারসাজিকারীদের কেন ধরা হইতেছে না? সরিষার অভ্যন্তরেই ভূত রহিয়াছে কিনা– অনুসন্ধান করা যাইতে পারে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2