avertisements 2

সিডনিতে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য'র পাদদেশে অস্ট্রেলিযা আওয়ামী লীগের সমাবেশ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৩১ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ১১:১১ পিএম, ৫ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

৪৯ তম মহান বিজয় দিবস, জাতির বিবেক এবং শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবি হত্যাদিবস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ সমাবেশ।

গত ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন সিডনি ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য পাদদেশে অস্ট্রেলিঁযা আওয়ামীলীগের আয়োজনে বিজয়দিবসের আলোচনা সভাটিতে যেমন অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মরণ করা হয় তেমনি জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাঙ্গার তীব্র প্রদিবাদ জানানো হয়।

উপস্থিত বক্তারা বলেন ১৯৭১ সালে সাম্প্রদায়িক পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের চেতনায় ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে ৩০ লক্ষ বাঙ্গালীর আত্মত্যাগ এবং দু’লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হানির বিনিময়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সেদিন যারা পাকিস্তানের পক্ষে বাঙ্গালী নিধন করেছে, আমাদের মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে তাদের উত্তরসূরিরা আজ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙছে। কারন, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন। আইয়ুব ইয়াহিয়ার প্রেতাত্মারা ভাস্কর্য, মূর্তি ইত্যাদির নান্দনিকতায় বিশ্বাস করেনা। সংগীত, কবিতার ভাষা ওদের পছন্দ নয়। ওদের বাবারাও পছন্দ করেনি। কিন্তু জাতি ওদের কথা শুনবে কেনো? ১৯৭১ সালে ওদের বাবারা ভোটে এবং যুদ্ধে পরাজিত। বিজিতদের কোনো দেশে কিছু বলার নেই। স্বাধীন বাংলাদেশে ভাস্কর্য থাকবে, মূর্তি থাকবে। ওরা কথা বলার কে? ওরা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেনি। ওরা দেশের উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। জনগনের স্বার্থ নিয়ে ওরা কথা বলেনা। ওরা শেখ হাসিনার সরকারের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করতে পারেনা। ওরা পদ্মাসেতুর মতো এতো বড় প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নে নির্বাক থাকে। কারন ওরা জানেইনা এই সেতু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কতোটা ভূমিকা রাখবে।

বক্তারা বিজয় দিবসের মাত্র দু’দিন পূর্বে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবিগনকে এই চক্রের পূর্বসূরিরা হত্যা করেছিলো। অসংখ্য বুদ্ধিজীবি হত্যা করে দীর্ঘ নয় মাস স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন। ওরা জাতিকে মেধাশূন্য করে দিতে চেয়েছিলো। ওদের কোনো প্রচেষ্টাই সেদিন যেমন সফল হয়নি; আজও হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ওরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে আঘাত করে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের হৃৎপিন্ডে আঘাত করেছে। সারা পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরা জেগে উঠেছে। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে প্রশান্ত মহাসাগরের তীর থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাদদেশে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতাবিরোধী মামুনুল হক গংদের উদ্দেশ্যে বক্তারা কঠিন ভাষায় হুঁশিয়ারী উচ্চারন করে দেশের সংবিধান এবং শাসনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

Previous Next

সভায় এ্যাডভোকেট সিরাজুল হক, পি এস চুন্নু, অধ্যাপক মাসুদ, মো: শফিকুল আলম সফিক, রতন কুন্ডু, আব্দুল খান রতন, সেলিমা বেগম, বিলকিস বেগম, পূরবী বোস, আবুল বাসার খান রিপন, অধ্যাপক মেহেদ লাল্টু চেয়ারম্যান, হাফিজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2