avertisements 2

আ. লীগের সংঘর্ষে

গুলিবিদ্ধ শিশু তাবাসসুম ব্যথায় ছটফট করছে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:০৬ এএম, ৫ মে,রবিবার,২০২৪

Text

 মুন্সীগঞ্জে গুলিবিদ্ধ শিশু তাবাসসুম বিন নুর। ছবি: সংগৃহীত 

‘ঘটনার সময় তাবাসসুম ছিল আমার ভাশুরের ছেলে জুয়েলের কোলে। জুয়েলও গুলিবিদ্ধ হয়। ঘুম থেকে জাগলেই কান্না করছে শিশুটি। ওর শরীরে গুলি এখনো রয়েছে। ব্যথায় চিৎকার করে তাবাসসুম। যখন কান্নাকাটি করে মা হয়ে সহ্য করতে পারি না। আমার সন্তানের কি দোষ ছিল?’

মুন্সীগঞ্জে গুলিবিদ্ধ শিশু তাবাসসুম বিন নুরের মা জোনিকা বেগম কথাগুলো বলছিলেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে সাত মাস বয়সি তাবাসসুমের চিকিৎসা চলছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, শিশুটির শরীরের দুই-এক জায়গায় ছড়রা গুলির অংশ বিশেষ আছে। এই বয়সে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই। কারণ, এই বয়সে কাটাছেঁড়া করা ঠিক হবে না। আমরা শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। অর্থোপেডিক্স বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে, যেন শিশুটিকে দেখে একটা রিপোর্ট দেয়। সে অনুযায়ী শিশুটির চিকিৎসা চালানো হবে।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জোনিকা বেগম বলেন, ‘বুধবার বিকালে ভাশুরের ছেলে জুয়েলের বিয়ে উপলক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জ সদরে গিয়েছিলাম মার্কেটিং করতে। কেনাকাটা শেষ করে সন্ধ্যায় ইজিবাইকে করে বাসায় ফিরছিলাম। মুন্সীগঞ্জ সদর সোলারচর গ্রামে এলে দেখতে পাই আমাদের ইজিবাইকের সামনে একজন গুলি ছুঁড়ছে। তখন চারদিক থেকে প্রচণ্ড গুলির আওয়াজ হচ্ছিল। হঠাত্ দেখি জুয়েলের কোলে থাকা তাবাসসুমের শরীর দিয়ে রক্ত ঝরছে। তাত্ক্ষণিকভাবে তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসকরা জানান, সেখানে এ ব্যাপারে কোনো চিকিৎসা নেই। পরে অটোরিকশা ভাড়া করে ঢাকায় রওনা দেই। রাত পৌনে ১০টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়েলিটি বিভাগের ২০৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাবাসসুমকে ভর্তি করা হয়। 

শিশুটির বাবা বাবুল ব্যাপারী বলেন, শুক্রবার ছুটির দিনে ঢাকা মেডিক্যালের শিশু ওয়ার্ডে কোনো ডাক্তার আসেনি। তবে জরুরি কোনো সমস্যা হলে জরুরি বিভাগে যেতে বলেছে। শনিবার ডাক্তার শিশুকে অর্থোপেডিক্স ডিপার্টমেন্টে নিয়ে যেতে বলেছে। সেখানকার ডাক্তারের রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসা করা হবে বলে শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2