avertisements 2

এমপিকে অপহরণের অভিযোগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধ স্ত্রীর মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ আগস্ট,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৫৮ পিএম, ৮ মে, বুধবার,২০২৪

Text

নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীরপ্রতীক। ছবি : সংগৃহীত

ত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালকে (বীরপ্রতীক) অপহরণের অভিযোগে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৯ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের (বীর প্রতিক) এমপি'র স্ত্রী রওশন হোসেন বেলাল বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করেন।

বুধবার (২৩ আগস্ট) থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করেন তিনি।

মামলার বিবাদীগণ হলেন, নাদীয়া আক্তার (২৬), পূর্বধলা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইশরাক আহামেদ তাইফ (২০), উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলাইমান হোসেন হাসিব (২৮), উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম (8২), সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান উজ্জল (৪৭), যুবলীগ নেতা নাদেরুজামান স্বপন (৪২), রতন পাল (৩২), শাহ্ আলীম (৩০) ও এমপির গাড়ি চালক শফিকুল ইসলাম (8৫)।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেনের বাড়ি কাজলা হতে আসামিরা তাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। পরে ওই সংসদ সদস্যের বাসভবনে না নিয়ে অন্যত্র আটকে রাখে। আসামিরা একে অপরের যোগসাজশে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেনের স্ত্রীকে জানায়, তিনি বিদেশ চলে গেছেন। কিন্তু সংসদ সদস্যের স্ত্রী তাদের কথা বিশ্বাস না করে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখেন। পরবর্তীতে আসামির সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জাল তালাকনামার ফটোকপি বাদিনীর কাছে পাঠায়। সংসদ সদস্য ও তার পরিবারকে সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আসামিরা জাল কাবিননামা ডাকযোগে বিভিন্ন অফিসে পাঠায়।

বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ২৭ মার্চ বিকেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেনকে ধানমন্ডির এক বাসা থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সংসদ সদস্য ও সাক্ষীদের মাধ্যমে জানা যায়, আসামিরা আটক অবস্থায় সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত ফোনের মাধ্যমে চাকরি দিবে বলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এ ছাড়া এজাহারে প্রকাশ ২৮ মার্চ এমপিকে চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়া নিয়ে গিয়ে সুস্থ করে ১১ আগস্ট দেশে এসে মামলা দায়ের করা হয়।

এ ব্যাপারে মামলার বিবাদী নাদীয়া আক্তার বলেন, ঘটনার এতদিন পর একজন সংসদ সদস্যকে অপহরণ করার অভিযোগ দায়ের হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। আর যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই ছাত্রলীগের পদধারী নেতা ও সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলাইমান হোসেন হাসিব বলেন, এজাহারে যে সময়টুকু উল্লেখ করা হয়েছে সেই সময়ে তিনি উপজেলার বিভিন্ন প্রোগ্রামে এটেন্ড করেছেন এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এমপি স্যারের অপহরণ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা ঘটনা। এমপি স্যারকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করা জন্য ঘৃণ্য এই মিথ্যা মামলাটি করা হয়েছে।

পূর্বধলা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলা তদন্তাধীন। 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2