avertisements 2

চেনা রূপে ফিরছে রাজধানী

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:৫৪ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ০২:৪৫ পিএম, ২ মার্চ,শনিবার,২০২৪

Text

সড়কে গাড়ির দীর্ঘ লাইন। পাশাপাশি অন্য যানবাহনের নিরন্তর ছুটাছুটি। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বিশেষ করে একাধিক সড়কের সংযোগস্থল বা মোড়ে সাময়িক যানজট। গণপরিবহনে যাত্রী ঠাসা। গাড়ির হর্ন আর হকারদের হাঁকডাক। গন্তব্যমুখী গাড়ির জন্য যাত্রীদের উন্মুখ অপেক্ষা। কাঙ্ক্ষিত বাহন পেলে তাতে উঠার প্রতিযোগিতা। পরিবহন শ্রমিকদের ব্যস্ততা। জনবহুল এলাকার ফুটপাতে আবার পণ্যের পসরা। বিপণিবিতানে ক্রেতাদের ভিড়। হোটেল রেস্তোরাঁয় প্রাণচাঞ্চল্য। সবমিলিয়ে চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা। অবস্থাদৃষ্টে কে বলবে, ২ কোটি মানুষের শহর এ রাজধানী বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়েছিল? দিন যতই গড়াচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিড়ের চাপে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা দায় হয়ে পড়েছে। অফিস-আদালত সবকিছু আগের মতো হওয়ায় ঢাকায় মানুষ ও যানজটের চাপও বেড়েছে। দিনের অধিকাংশ সময় বিভিন্ন সড়কে তৈরি হচ্ছে যানজট। ফ্লাইওভারের মুখগুলোতে আগের মতোই যানজট শুরু হয়েছে। করোনাকালে রাজধানীর থানাগুলোয় ভিড় ছিল না বললেই চলে। পালটে গেছে সেখানকার চিত্রও। এখন রাত বাড়লে জমে ওঠে থানার কর্মতৎপরতা।

করোনা এড়াতে গত বেশ কিছুদিন সামাজিক দূরত্ব রক্ষার স্বার্থে শপিংমল ছাড়াও বন্ধ ছিল দোকানপাট। ফুটপাত ছিল ফাঁকা। তবে জীবিকার তাগিদেই আবার সবাই ফিরেছেন নিজ নিজ কাজে। শুরু হয়েছে রাজধানীর ফুটপাত জুড়ে হকারদের রমরমা ব্যবসা। আগের মতোই সকাল থেকে বাসস্ট্যান্ডে শুরু হয় অফিসগামী মানুষের দীর্ঘ লাইন, ভিড় এবং গাড়িতে ওঠার ঠেলাঠেলি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মানুষের জীবন ও অর্থনীতিকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে করোনা ভাইরাস। তাই সামনে এগুতে হবে। পূরণ করতে হবে করোনার কারণে সৃষ্ট ঘাটতি। তাই এই ছুটে চলা।

গত ৮ মার্চ করোনার প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে এক জনের মৃত্যুর পর ২৫ মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে সারা দেশে ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি। বন্ধ করে দেওয়া হয় যানবাহন চলাচল। তখন এক ভূতুড়ে নগরীতে পরিণত হয় ঢাকা। সড়কে মানুষের আনাগোনা দেখা যেত খুব কমই। গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, যানবাহনের চাপ বাড়ায় সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক পুলিশকে আগের মতোই হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিজয় সরণিতে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল জানান, সড়কে আগের মতোই গাড়ি চলাচল করছে। এ কারণে তাদের কাজের চাপও আগের মতোই বেড়েছে। অপর দিকে পেট্রোল পাম্প ও ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি নেওয়ার জন্য বেড়েছে গাড়ির চাপ।

বেসরকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা করপোরেট হাউজগুলোর অনেকেই এখন চলছে পুরোনো নিয়মে। সেখানেও শতভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। শপিংমল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে আগের নিয়মে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি মিলেছে। পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোয় মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। জমে উঠেছে চায়ের দোকানে পুরোনো আড্ডা। আগের মতোই মুখর হয়ে উঠছে রেল স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড। আবাসিক হোটেলে বেড়েছে বোর্ডারের চাপ।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2