avertisements 2

প্রতিমন্ত্রীর ছেলের বৌভাতে শিক্ষকেরা উপহার বাবদ দেন ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৪৭ পিএম, ৩ মে,শুক্রবার,২০২৪

Text

কুড়িগ্রামের তিন উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ছেলের বৌভাতের অনুষ্ঠানে শিক্ষক- কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়ার ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এদিকে, বৌভাত উপলক্ষে উপহারের 'বাধ্যতামূলক' টাকা নেওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে দেখছেন না খোদ শিক্ষকেরাই। তাঁরা বলছেন, বৌভাত অনুষ্ঠানে উপহার প্রদানের জন্য সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের থেকেই বাধ্যতামূলকভাবে কমবেশি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। 

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে তিনশ থেকে আটশ পর্যন্ত টাকা উত্তোলন করা হয়। সূত্র বলছে, প্রায় ছয় লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ওই টাকায় রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, স্বর্ণালাঙ্কারসহ দামী উপহার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারাও উপহার নিয়ে গেছেন অনুষ্ঠানে। তবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষকেরা নিজ ইচ্ছাতে খুশি মনেই উপহার কিনতে টাকা  দিয়েছেন। 

গতকাল রোববার সকালে তিন উপজেলার ২৬৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে মন্ত্রীর ছেলের বউভাত অনুষ্ঠানে যান শিক্ষকরা। শীতের সকালে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে গিয়ে বন্ধ দেখে ফিরে আসেন। বিষয়টি নিয়ে অনেক অভিভাবকের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

তবে শিক্ষা অফিস থেকে জানানো হয়, সংরক্ষিত ছুটি থেকে একদিনের ছুটি নিয়েছেন প্রধান শিক্ষকরা। তবে একই দিনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত ছুটি দেওয়া যায় কিনা এ নিয়ে কথা বলতে চাননি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। 

প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন কুড়িগ্রামের রৌমারী, রাজীবপুর ও চিলমারী উপজেলা নিয়ে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য। তার বাড়ি রৌমারী উপজেলায়। রোববার প্রতিমন্ত্রীর রৌমারীস্থ বাসভবনে তার একমাত্র ছেলে সাফায়েত বিন জাকির সৌরভের বিবাহোত্তর বৌভাত অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের বাধ্যতামূলক যেতে বলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষক-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন বলে অভিযোগ।

রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে বন্ধ দেখা যায়। অন্যান্য এলাকায় খোঁজ নিয়েও জানা গেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে সকাল বেলা পতাকা উত্তোলন করে তালা মেরে রাখা হয়। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের অল্প কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। দু’-একজন শিক্ষককে স্কুলে দেখা গেলেও কোনো শিক্ষার্থী ছিল না। 

স্কুল বন্ধের বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি শিক্ষক-কর্মচারীরা। অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে কথা বলতে চাননি।  এ বিষয়ে কথা বলতে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2