avertisements 2

ড. ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা আয়কর পরিশোধের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৮ মার্চ,শুক্রবার,২০২৪ | আপডেট: ০৮:১৯ এএম, ১ মে, বুধবার,২০২৪

Text

 ফাইল ছবি: সংগৃহীত 

নোবেলজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ২০১১ সাল থেকে পরবর্তী ৫ পাঁচ বছরের জন্য তাকে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

এ বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বণিক বার্তাকে বলেন, গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণ যথারীতি কর দিয়ে আসছে। এতদিন পর্যন্ত এভাবেই সবকিছু চলেছে। এখন অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলকে দিয়ে সে ফাইলগুলো পুনরায় চালু করে পুনরায় ট্যাক্সগুলো ধরা হলো। তখন গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম তারা বলল এগুলো আমাদের জন্য প্রযোজ্য না। কারণ তারা একবার ট্যাক্স দিয়েছে। এর ওপর তো দুই বা তিনবার কর হবে না। এটিই হলো সমস্যা। এটি কর ফাঁকি নয়। এর প্রতিকার চেয়েই গ্রামীণ কল্যাণ থেকে কর বিভাগে আপিল করা হয়েছে। কর বিভাগ সেটি না মানায় তারা হাইকোর্টে এসেছে। কিন্তু সে জায়গায় হাইকোর্ট ১১৯ কোটি টাকা কর প্রদানের রায় দিল।

কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে এর আগে গত বছরের জুনে ইউনূস সেন্টার একটি বিবৃতি দিয়েছিল। বিবৃতিতে ইউনূস সেন্টার বলেছে, প্রফেসর ইউনূসের যে টাকা নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের অর্জিত টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, তার উপার্জনের সূত্র প্রধানত তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রিলব্ধ টাকা এবং পুরস্কারের টাকা। এর প্রায় পুরো টাকাটাই বিদেশে অর্জিত টাকা। এ টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা হয়েছে। কর বিভাগ তা অবহিত আছে। কারণ সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।

সেই সঙ্গে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, তিনি জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি। তিনি মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ নেই (বাড়ি, গাড়ি, জমি বা শেয়ার ইত্যাদি)। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার উপার্জনের টাকা দিয়ে ২টি ট্রাস্ট গঠন করবেন। তিনি তাই করেছেন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2