avertisements 2

অগ্রিম নিয়োগপত্রে কোটি কোটি টাকা নেয়া হচ্ছে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৫৮ এএম, ২ সেপ্টেম্বর, বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০৪:০৮ এএম, ২ মার্চ,শনিবার,২০২৪

Text

সরকারি বিভিন্ন দফতরে জনবল সরবরাহের অনুমতি পাওয়ার আগেই চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে নিয়োগপত্র দিয়ে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে উঠেছে আল-আরাফাহ সিকিউরিটি সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গেছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল) ও স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার নামে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জনপ্রতি আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা করে আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন কাজী আনিসুর রহমান। দুদক ছাড়াও বিষয়টি তিনি পানিসম্পদমন্ত্রী ও সচিব বরাবরে চিঠি দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, আল-আরাফাহ সিকিউরিটি সার্ভিসেস চাকরিপ্রত্যাশী বেকারদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

আল-আরাফাহ সিকিউরিটি সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান আবুল তালেব বিস্ফোরকদ্রব্য আইনসহ নাশকতার অনেক মামলার আসামি। অভিযোগের বিষয়ে বেলায়েত হোসেন বলেন, যারা কাজ করবে, তাদের গ্যারান্টি হিসেবে এই টাকা নেয়া হচ্ছে। এটা অন্যায় কিছু নয়। চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কয়েকটি অডিও রেকর্ড পাওয়া গেছে। এতে শোনা যায়, ভোলার এক সরবরাহকারীর সঙ্গে বেলায়েত ২৫ জনের নিয়োগের বিষয়ে কথা বলেন। পরিসংখ্যান ব্যুরোর গৃহগণনা প্রকল্পে চাকরির জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। টাকা ফেরত দেয়ার নিশ্চয়তা তিনি দেননি। একইভাবে পাউবোসহ অন্যসব দফতরেও আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা করে অগ্রিম দাবি করেন বেলায়েত।

১৯ আগস্ট পাউবোতে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন শ্রেণির ৫৫৩ জন নিয়োগের ই-জিপি দরপত্র ডাকা হয়। সেখানে আল-আরাফাহ সিকিউরিটি সার্ভিসেস অংশ নেয়। দরপত্রে অংশ নিয়েই তারা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ আদায় শুরু করে।

এ বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, কার্যাদেশ পাওয়ার আগে কাউকে নিয়োগ দেয়া বা চাকরি দেয়ার নাম বলে অর্থ আদায়ের কোনো সুযোগ নেই।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আল-আরাফাহ সিকিউরিটি সার্ভিসেস সম্প্রতি পরিসংখ্যান ব্যুরোর ৬৬১ জনবলের লোয়া (লেটার অব এসপেকটেশন) প্রাপ্ত হয়। যমুনা সেফ গার্ড এবং গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রা.) লিমিটেড নামে দুটি প্রতিষ্ঠান অনিয়মের অভিযোগ তুলে রিভিউ প্যানেলে আপিল করে। পরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিপিটিইউ (সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট) থেকে পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প থেকে আল-আরাফাহ সিকিউরিটিকে দেয়া লোয়া বাতিল করে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, চুক্তি না হলেও লোক নেয়া এবং চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা অডিও রেকর্ডেই প্রমাণিত। এর সঙ্গে ব্যুরো বা পাউবোর যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে যে প্রতিষ্ঠান অর্থ আদায় করেছে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2