avertisements 2

বাঙালীর সাতকাহন

জালাল উদ্দিন আহমেদ
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৮ এএম, ২৩ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

জাতি হিসাবে আমরা বাঙালী হলেও সমগ্রতার খেরো খাতায় বড় ধরনের একটি ক্ষত আমাদের আছে। এই ক্ষতকে প্রায়শঃ ক্ষেত্রে আমরা  “ ও কিছু না” বলে এড়িয়ে চলি কিংবা একটু হৈচৈ করে আবার ক্ষান্ত হয়ে যায়। বাঙালীর সামগ্রিকতার এই ক্ষত কিন্তু প্রতি নিয়ত আমার অন্তরাত্মায় রক্তক্ষরন ঘটাচ্ছে। আবার নিয়তির লিখন ভেবে ওটাকেই স্বতঃসিদ্ধ ধরে নিয়ে আমরা যার যার  উঠানে স্বকীয়তা নির্মানে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। 


কি নিয়ে এত কথা যে আমাকে এত হতাশায় পড়তে হোল। অবশ্য এ হতাশা আমার একার নয়। সমগ্র বাঙালী স্বত্ত্বার  হা-পিতেশের কথা এটি। বাঙালী বলতে তো আমি শুধু আমার এই স্বাধীন ভূখন্ডের বাঙালী চেতনার বাঙালীয়ানার কথা বলছি না। সমগ্র বাঙালী স্বত্ত্বায় বিরাজমান বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ৩০ কোটি বাঙালীর কথাই তো বলতে হয়। তবে সামগ্রিকতার নিরিখে এপার ওপারের সমষ্টিই তো আঠাশ কোটির কাছাকাছি। বাকীসব বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। আমরা বাঙালীরা সব কিছুতেই শুরুটা করে দিতে পারি বেশ ভাল ভাবে। কিন্তু চলার পথে কিংবা ফাইনাল র‍্যাপ আপে কখনোই ভাল করতে পারিনা। মস্তিষ্ক উর্বর, কিন্তু লিকলিকে একহারা গড়নে আমাদের বাড় বাড়ন্ত সব সময়। তাছাড়া যেদিন থেকে ধর্মগুরু আমার দুয়ারে ঠাঁই নিয়েছে তখন থেকেই আমি আড়ষ্টতায় আঁটকে গিয়েছি রাম রহিমের ছদ্মনামে। আমি এখন কাজল কবির কমল কদমে না থেকে ঢুকেছি মিয়া মশাইয়ের প্রতিকী আবরনে। জি আঁগ্যে হচ্ছে আমাদের সাড়া দেয়ার ভিন্নতা। এরকম হাজারো ভিন্নতা নিয়ে আজ আমার অস্তিত্ত্বের আঁতুড় ঘরে কতসব বাহারী আয়োজন। 


আমাদের সাদৃশ্য একটাই। আমরা বাংলায় কথা বলি। রবি ঠাকুরের গান গেয়ে মানব প্রেমিক, প্রকৃতি প্রেমিক হই। আমরা নজরুলের গান গেয়ে নিজেদের অস্তিত্বের শৌর্যবীর্যে যুথবদ্ধ হওয়ার রসদ খুঁজি। কৌলিন ব্রাহ্মনের মুখ নিসৃত কথাগুলোকে বাণী আকারে বাঙালী তথা বিশ্ব ব্রম্ভান্ডে প্রচারের পসার ঘটাতে আদাজল খেয়ে মাঠে নামি। বিত্ত বৈভব ও প্রাচুর্যে লালিত এক ব্রাহ্মণ জমিদার যখন তার ধন সম্পদ সুরক্ষার অন্তরালে কাব্যগীতি উপস্থাপনে বাঙালীর মান মর্যাদা ও একাত্মতার কথা ব’লে সাধারন বাঙালীকে পুলকিত করেন, তখন আমরা ঢোল করতাল নিয়ে তার বন্দনায় রাস্তায় নেমে পড়ি। বাংলা ও বাঙালীর বিকশিত হওয়ার মন্ত্র গাঁথায় তাকে মাথায় নিয়ে নাচানাচি করি। পাশাপাশি সাধারন বাঙালীর ঘরে জন্ম নেয়া ঐশী সমৃদ্ধ অনন্য কাব্য প্রতিভার অন্য উঠানের কবিকে আমরা নটে ও যাত্রা পালার প্রফাইলে ফেলে তাকে দিয়ে সিনেমা ও যাত্রার নট-নটি বানানোর ব্রতে গলদঘর্ম হই। দারিদ্র কষাঘাতের চপেটাঘাতে জর্জরিত হয়ে যখন তার মুখ নিসৃত কাব্য প্রতিভা স্বাধীনতা ও সৌকর্যের দামামায় উদ্বেলিত হয় তখন তা বিচ্ছিন্ন ঘটনায় রূপান্তরিত করে আমরা সেটা সাধারনভাবে উপস্থাপনে ব্রতী হই। মেধা ও মননশীলতার উর্ধ্ব গগনে থেকে কবি যখন হঠাৎ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তখন আমরা বিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টায় তাকে কবিরজি ও হোমিও চিকিৎসায় সারানোর প্রয়াসে মহৎ হওয়ার ভান করি। আর ধ্বংসের শেষ প্রান্তে এসে যখন সেটা নিরাময় অযোগ্য হয়ে পড়ে তখন আমরা লোক দেখানো প্রচেষ্টায় তাকে উন্নত চিকিৎসার নামে বিদেশে প্রেরন করে ধন্য হই। অথচ বাংলার চাষা-ভুষা এঁটো ঘেটো ঘন্টু খেয়ে বেঁচে থাকা মানুষের ঘাম ঝরানো আনাজের খেরাজ দিয়ে আমরা আমেরিকা ইউরোপ করে আমাদের মহান ভারতের পসার ছুটিয়ে চলি। শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির একচেটিয়া লগ্নি নিয়ে একটি পক্ষ অন্য একটি পক্ষকে সব সময় অন্ধকারে রাখার মানসে তাদের চলার চিত্রপট সাজাতে ব্যস্ত থেকেছে যা ধর্মগুরু বা রাম রহিমের হেসেল থেকেই উদ্ভব হয়েছে বলে মনে হয়। তো, এই হোল আমাদের আদি ও আদিত্ব নিংড়ানো বাঙালীর বিকাশের মূল নির্যাস। যে নির্যাসে আমাদের কাব্য সাহিত্য সংস্কৃতি ও সামাজিক বিন্যাস উচ্চকিত করার প্রয়াসে আমরা উঁকি ঝুঁকি মারি।


আসি রাজনীতি বা রাষ্ট্রনীতির ফালনামায়। দুর্ভাগ্য এখানেও আমাদের আস্তাকুঁড় তৈরীতে প্রচন্ড শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছে। রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতির  সর্বক্ষেত্রেই যেন সেই ডাবল আরের (রাম রহিম) হেসেল থেকেই তার দুর্গন্ধের বুদবুদ ছড়িয়েছে। আমরা বাঙালী। শাশ্বত ভাবেই আমাদের রাজনীতির কৃষ্টি কালচার বাঙালীয়ানায় সমৃদ্ধ। কিন্তু রাজনীতির পাশা খেলায় যখন ধর্ম বর্ণের আনাগোনা থাকে কিংবা ব্রাহ্মন্য জমিদারির স্বার্থ তথা রাম রহিমের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার সংশ্রব থাকে তখন সেখানে তো ঘোট পাকতেই পারে। হয়েছিলও তাই। লর্ড কার্জন সাহেব যখন ঢাকাকে রাজধানী করে বাংলার পুর্বাংশের মানুষের জীবন যাত্রা ও সার্বিক সামাজিক সূচক উন্নত করার মানসে বাংলাকে ভাগ করে দিলেন তখন গেল গেল রব তুলে ব্রাহ্মন্য জমিদার গোষ্ঠী কলকাতার রাস্তায় নেমে পড়লেন। কারন কলকাতা ও তার আশে পাশের প্রথিযশা ব্রাহ্মণ জমিদাররা তাদের খাস তালুক পুর্ব বঙ্গের খাজনা ও রসুঁই দিয়েই তো কলকাতায় ছড়ি ঘোরাতেন। ফলে উঁচু শ্রেনীর চাপেই হোক কিংবা রাজনীতির উত্তাপেই হোক ১৯০৫ এর বঙ্গ ভঙ্গ ১৯১১ তেই শেষ হয়ে গেল। অথচ ১৯০৫ থেকে ১৯৪৭ এর সময়টুকুর স্বাতন্ত্রতা পেলে পুর্ব বাংলার রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি অন্য পথেও তৈরী হতে পারতো। দুর্ভাগ্য কত রকম হয় এবং কিভাবে তা শনির চক্রে ঘুরে, তার ছোট্ট একটা নির্ঘন্ট উপস্থাপনেই হয়তো বিষয়টি পরিস্কার হবে। ব্রিটিশ ভারতের India ruling act 1935 এর আওতায় যখন বাংলা তার স্বশাসনের অধিকার পেল তখন থেকেই সেই double R এর ঘোট আবারও মাথা চাড়া দিল। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৭ এই দুই টার্মে বাংলা তিনজন প্রধানমন্ত্রী পেল। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংখ্যা গরিষ্ঠতার জেরে ঐ প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্বটা পড়েছিল রহিম গ্রুপের পাতে। বিপত্তিটা শুরু এবং  জোরালো আপত্তি হোল এই কারনে যে, এই আদলে বাংলা থাকলে, বাংলার ছড়ি হাতে কখনোই রামেরা আসতে পারবেনা। এবং মাথাওয়ালা বাঙালীর মাথা ভাঙ্গার সুত্রপাত তখন থেকেই শুরু। দূরদর্শিতার অভাবে পশ্চিমাংশের র'য়েরা বাঙালী হয়েও ভারতীয় হয়ে গেল। সাম্প্রতিক সময়ের ওই ভারতীয় বাংলার বিধান সভার নির্বাচনের দৃশ্য তো আমরা খোলা চোখেই দেখলাম। প্রচন্ড বাঙালী হয়ে গড়ে উঠা একজন রাজনীতিবিদ যিনি সদ্য জয় শ্রীরামের সেবক হয়েছেন। সেই তিনি এখন রামভক্ত রাজনীতির পদ্মমুখী প্রথম সারির নেতা। সেই মাথাওয়ালা বাঙালীর মুখে শুনলাম “শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীরা না থাকলে আজকে আমাদের হিন্দুদেরকে ঢাকার মুসলমানদের অধীনে থাকতে হোত”। কি আহাম্মুকি, ঔদ্ধ্যত্বপুর্ণ এবং আত্মবিদ্ধংসী কথাবার্তা। এইসব মাথাওয়ালা বাঙালীরাই তো সেইসব মাথাওয়ালা পুর্বপুরুষ শ্রীঅরবিন্দ, শ্যামাপ্রসাদ, আশুতোষ বাবুদের উত্তর পুরুষ। 


মনে পড়ে কি সেসব দিনের কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাতে হতে না পারে তার জন্য তাদের লম্ফ ঝম্ফ তো আমরা দেখেছি। আরএসএস (রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ) এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বাঙালী শ্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী। তার পিতৃদেব, তাদের কথিত বাংলার বাঘ শ্রদ্ধেয় স্যার আশুতোষ মুখার্জী তখন বাংলার শিক্ষা জগতের প্রথম সারির প্রশাসক। তিনি তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। পাশাপাশি তিনি কলকাতা হাইকোর্টের খন্ডকালীন বিচারকও ছিলেন। ঢাকায় যাতে বিশ্ববিদ্যালয় না হয় তার মাস্টার মাইন্ডও বটে। সে সময় বড়লাট বিষয়টি আঁচ করতে পেরে স্যার আশুতোষকে এসব বিরোধিতা ইত্যাদি থামাতে বললেন এবং এটাও জানিয়ে দিলেন যে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় হবেই। এটা বৃটিশ সরকারের সিদ্ধান্ত। বরং কলকাতার জন্য কি পেলে এর বিরোধ হবে না তা তিনি জানতে চাইলেন। তখন আশুতোষ বাবু কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অতিরিক্ত চারটি অধ্যাপকের পদ সৃষ্টির জন্য বৃটিশ বড়লাটকে অনুরোধ করেন। বড়লাট সঙ্গে সঙ্গে তাতে সম্মতি দেন এবং এ নিয়ে আর উচ্যবাচ্য না করার জন্য অনুরোধ করেন। বড়লাট এটাও বলেন বিষয়টি ঢাকা প্যাক্ট হিসাবে গন্য হবে। অর্থাৎ ঢাকায় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় শিক্ষা প্রসারের বিরোধিতায় কলকাতার বনেদি হিন্দুরা যে প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছিল তা এই ছোট ঘটনা থেকে বুঝা যায়। তাহলে আরো যেসব বড় বড় বিরোধিতার পকেটগুলো ছিল সেগুলোকেও তো বৃটিশদের সামলাতে হয়েছিল। সুতরাং কোন্ নিক্তিতে ফেলে রহিম গ্রুপ, রাম গ্রুপের ওইসব স্বদেশীদের প্রতি আস্থা রেখে চলেছে তা কি  বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা! ভারত বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ফরিদপুরের সন্তান আরসি মজুমদার  নিজের অজান্তেই এসব খবর তার জীবনের স্মৃতি কথায় উচ্চারন করেছেন। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার কৃতজ্ঞতা বশেও হয়তো মুখ ফস্কে তা বেরিয়ে যেতে পারে। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, ঢাকার হিন্দুরাও এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধী ছিলেন। তিনি আরো বলেছেন আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদায় দুটো হল করা হয়েছিল। একটা জগন্নাথ হল। অন্যটা ঢাকা হল। কি মুসিবত! শুরুতেই কিন্তু নবাব সলিমুল্লাহর নামে হল হয়নি। অথচ নবাবের দান করা জমিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হোল। এসব তো ইতিহাস। এগুলোকে পাশ কাটিয়ে এগোবেন কেমন করে। 


দুর্ভাগ্য আমাদের। বাঙলা বাঙালী নিয়ে চিৎকার করি, গলা ফাটায়। কিন্তু বাংলাকে ধারন করার সক্ষমতায় আমরা কি কোনদিন  ছিলাম? ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে যখন প্রথম বাংলা পাঠের আয়োজন হোল তখন তাকে লালন পালন করার জন্য কোন বাঙালীকে আমরা কি তখন পেয়েছিলাম?  বাংলা বই ছাপানোর প্রথম আয়োজনে আমরা কোন বাঙালীকে সামনের সারিতে পাইনি। অথচ বিদ্যাসাগর রামমোহনকে নিয়ে বাঙালীয়ানার কত আয়োজন। কতশত ব্যঞ্জন সহকারে গল্প গুজব। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় বাংলা ভাষা, বাংলা পুস্তক, বাংলা প্রেসসহ আরো সব আয়োজনে বাংলা বিকাশের পথিকৃত ছিলেন একজন ইংরেজ পাদ্রী। বাংলা চালুর প্রথম পর্বে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রথম প্রধান অধ্যাপকের নাম সেই ব্যাপ্টিস্ট পাদ্রী উইলিয়াম কেরী। লক্ষ্যনীয়, তৎসময়ে ওই কলেজের সংস্কৃত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তখন একজন প্রথিতযশা বাঙালী। তিনি আর কেউ নন। তিনি স্বয়ং বিদ্যাসাগর মহাশয়। সুতরাং ধর্মগুরুদের টোলে বসে এক 'র' তার ধর্মগুরুর সংস্কৃত নিয়ে বেদ বেদান্তের মহত্ব প্রচারে রয়েছেন আর অন্য 'র' তার ধর্মগুরুর হালখাতায় আরবী উর্দুর মাজনে ব্যস্ত থেকেছেন। বাংলার double R সে সময় এভাবেই বাঙালী হয়ে বেড়ে উঠেছে। 
বাঙালী তার স্বপ্নের বীর পুরুষদের আমলে নেয় না। বৃটিশ ভারতীয় আঙ্গিকে স্বপ্নের বীর পুরুষ বাঙালী নেতাজীকে কেউ মনে রাখেনা।  তাকে নিয়ে পশ্চিমের গ্রাম গঞ্জে কোন আহামরি জন সচেতনেতা আছে বলে মনে হয় না। ভারত আন্দোলনের সেই বীর বাঙলীকে আমরা কয়জন চিনি? আবার  বাংলা ও বাঙালীর স্বপ্ন পুরুষ, স্বাধীন বাংলার স্থপতি এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অহংকারের আতিশয্যে মাঝে মধ্যে আমাদেরকেও হোঁচট খেতে হয়। অথচ আজকের দিনে আমরা ডাবল আরের (রাম রহিমের) ডামাডোলে “জয় শ্রীরাম” আর  “নারায়ে তাকবির” বলে হিন্দু মাড়োয়ারী ও মুসলিম মহাজনি জৌলুষে বেপরোয়া হচ্ছি। এটাকে দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কি বলা যায়। 
এই হোল আমার বাঙলা ও  বাঙালীর সাতকাহন। তাইতো বলতে ইচ্ছে করে,
এসো আজ বস সবে
শোন সাতকাহন,
কবিতার কন্ঠ আজ রূদ্ধ কেন
কেন মুহ্যমান।
( আমার এই নিবন্ধে শুধু রাম উঠানের র'দের নিয়েই কলম চলেছে। বিষয়টি একপেশে হোল নাতো! আসলেই কি তাই? কিন্তু, কি করি বলুন তো? Playing Actor হিসাবে রহিম উঠানের কাউকে পাওয়া গেল না যে! 'দাদাগিরি' প্রবাদটির প্রচলন সেখান থেকেই শুরু কিনা, কে জানে।)
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2