avertisements 2

ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনাম হকের হাত ধরে প্রাণ ফিরেছে রেপ্টাইলস ফার্মের

মোঃ আসাদুজ্জামান
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ জুন,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:১১ এএম, ২৩ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

ব্যবস্থাপনা জটিলতা , আর্থিক সংকট   সব মিলিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছিলো দেশের বাণিজ্যিকভাবে প্রথম কুমির চাষ প্রকল্প রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেডের কার্যক্রম।স্বাভাবিক খাবার না পেয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরার উপক্রম হয়েছিলো  কুমিরগুলোর। 
কিন্তু রেপ্টাইলস ফার্মের এসব  প্রাণীগুলো খুব ভালো সময় কাটাচ্ছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিশিষ্ট কুমির বিশেষজ্ঞ এনাম হকের সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও নিরলস প্রচেষ্টায় ফার্মটি আবার তার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। 
বাংলাদেশের প্রথম কুমির প্রজনন খামার এর নাম রেপ্টাইলস ফার্ম লিমিটেড। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নে অবস্থিত এই প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৪ সালে। পণ্য হিসেবে কুমির রফতানি করে আন্তর্জাতিক বাজারে স্থান করে নেওয়াই এই ফার্মের মূল লক্ষ্য। 
শুরুর দিকের সময়টা ভালো কাটলেও বিগত কয়েক বছরে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে নিষ্প্রাণ হয়ে পরে ফার্মটি। খাবার ও পরিচর্যার অভাবে জীর্ণ হয়ে পরা কুমিরগুলোর অসহায়ত্ব অনুধাবন করে উচ্চ আদালত ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় যাদের মধ্য হতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব অর্পিত হয় আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত কুমির বিশেষজ্ঞ এনাম হক এর ওপর।
কুমির ভালোবাসেন বলেই রেপটাইলস ফার্ম এর কুমিরগুলোর দুরবস্থা দেখে কালবিলম্ব না করে এনাম হক কুমিরগুলোর খাবার ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। নগদ অর্থ শূন্য প্রতিষ্ঠানটির সংকট মোকাবেলা করা এবং সম্পদ পুনরুদ্ধার অত্যন্ত দুরূহ ব্যপার, তবুও ফার্ম তথা প্রতিষ্ঠানটিকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে রেপটাইলস ফার্মকে একটি আধুনিক ফার্মে রূপান্তর করতে তিনি বদ্ধ পরিকর।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনাম হক এর অনুপ্রেরণায় ফার্মের কর্মকর্তা কর্মচারীরা  নতুন  মনোবল ফিরে পেয়েছে। তিনি তার বহুমুখী অভিজ্ঞতাকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে  কর্মীদের মাঝে বিতরণ করে তাদের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন। নিরাপত্তা-ব্যবস্থার উন্নয়ন, সৌন্দর্যবর্ধন, আধুনিক পদ্ধতিতে নির্ভুল হিসাব রক্ষণ, পর্যটন ব্যবস্থা চালুকরণ, পর্যটকদের আধুনিক সুযোগ সুবিধা বাস্তবায়ন, কুমিরের পরিচর্যা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, নতুন স্থাপনা নির্মাণ, ওয়েবসাইট তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি সকল ক্ষেত্রে তার সুদক্ষ ব্যবস্থাপনায় কর্মীরা বিস্মিত এবং মুগ্ধ। 
এ বছর সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ফার্মটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রসর হচ্ছে রেপটাইল ফার্ম কর্তৃপক্ষ যার নিয়মিত আপডেট পেতে রেপ্টাইলস ফার্ম লিমিটেড এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ www.facebook.com/reptilesfarmbd এ দৃষ্টি রাখার আহবান জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক জ এনাম হক। 
ফার্মের কর্মীদের সাথে তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভুতির কথা জানতে চাইলে তারা জানায় যে, দীর্ঘ সময়ের অনিশ্চয়তার পর তারা আশার আলো দেখতে পাচ্ছে এবং বর্তমান কার্যক্রমের গতি প্রত্যক্ষ করে তারা নিশ্চিত যে খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়াবে। 
নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনাম হকের ব্যবস্থাপনা কৌশলের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানায় যে, দুর থেকে শুধু নির্দেশনা কিংবা কাগজ কলমের প্রশিক্ষণ নয় বরং কর্মীদের সাথে রোদে পুড়ে, জলে ভিজে, কধে কাধ মিলিয়ে ফার্মের সব ধরনের কাজে অংশ নেন এবং কখনোই ছায়ায় বসে কাজের নির্দেশ দেন না। কর্মীরা তাকে কাজ করতে না দিলেও তারা যতক্ষণ কাজ করে ততক্ষণ তিনিও তাদের সাথে রোদেই দাড়িয়ে থাকেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালসহ কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম শুরু হয় সূর্যোদয়ের আগে আর চলতে থাকে রাত দুইটা কোনোদিন রাত তিনটা পর্যন্ত। সপ্তাহের সাত দিন একই নিয়মে কাজ করে দিনে গড়ে মাত্র তিন ঘণ্টা ঘুমানোর সুযোগ পান স্বয়ং ব্যবস্থাপনা পরিচালক  হক সহ ফার্মের কর্মকর্তারা, তবুও তাদের মুখের হাসি ম্লান হয়না। 
তিনি জানান সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমান বোর্ড অব ডিরেক্টরদের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া রয়েছে।  নিয়মিত বোর্ড মিটিং হয়েছে।  প্রত্যেকটি বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে লাভজনক করতে বিভিন্ন সিদ্বান্ত গ্রহন করা হচ্ছে।

 

Previous Next

সরজমিনে দেখা যায় ফার্মের কর্মকর্তা-কর্মচারি একজন সত্যিকারের ব্যবস্থাপক পেয়ে উল্লসিত, তাই অনেক যত্নে আগলে রাখা রেপটাইল ফার্ম নিয়ে তারা স্বপ্ন দেখে সম্ভাবনার, স্বপ্ন দেখে নতুন ভোরের। সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে এনাম হকের  নেতৃত্বে সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এক যোগে কাজ করছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2