avertisements 2

পোকা খাওয়া ১২০ টন চাল নিয়ে কুড়িগ্রাম খাদ্যবিভাগে তোলপাড়

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:১৯ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০৭:১৯ এএম, ২৩ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

রংপুর খাদ্য বিভাগের প্রোগ্রাম অনুযায়ী পঞ্চগড় জেলার ফকিরগঞ্জ খাদ্যগুদাম থেকে কুড়িগ্রাম সদর খাদ্যগুদামে প্রেরিত আমন চাল খাবার অযোগ্য হওয়ায় তা ফেরত দিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্যবিভাগ। এই ১২০ টন পোকা খাওয়া, ডাস্ট ও ভাঙ্গাচোরা বিবর্ণ চাল নিয়ে কুড়িগ্রামসহ রংপুর খাদ্যবিভাগে চলছে তোলপাড়।

জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রংপুর খাদ্যবিভাগের ১০ সেপ্টেম্বরের ১৯৩৬ (১৩)নং স্মারকের ২২নং প্রোগ্রাম অনুযায়ী পঞ্চগড় জেলার ফকিরগঞ্জ খাদ্যগুদাম থেকে ১৫০ টন আমন চাল কুড়িগ্রাম সদর খাদ্যগুদামে প্রেরণের সরকারি নির্দেশনা জারি হয়। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে ১৫ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম খাদ্যগুদামে আসে ১২০ টন চালের চারটি ট্রাক। কুড়িগ্রাম সদর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা ওই ৪ ট্রাক চাল গুদামজাত করার সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চালগুলো খাবার অযোগ্য মনে করে গুদামজাত বন্ধ রেখে খাদ্যবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করেন।

খাবার অযোগ্য ভাঙ্গাচোরা বিবর্ণ এ চাল সরেজমিন তদন্ত করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি। কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্যবিভাগের উচ্চপযার্য়ের তদন্ত কমিটির পরামর্শে খাবার অযোগ্য ১২০ টন চাল ফেরত পাঠানো হয় পঞ্চগড় জেলা খাদ্য বিভাগে।

খাবার অযোগ্য, পোকাযুক্ত, ভাঙ্গাচোরা আমন চালের এ খবরে কুড়িগ্রামসহ গোটা রংপুর অঞ্চলের খাদ্যবিভাগে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কোমর বেঁধে মাঠে নামে একটি চক্র। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বুধবার বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে খাদ্যবিভাগ পড়ে বিপাকে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর খাদ্যগুদামরক্ষক কানিজ ফাতেমা বলেন, সরকারি নিয়মে আঞ্চলিকভাবে চাল এক গুদাম থেকে অন্য গুদামে দেয়া হয়। কিন্তু ফকিরগঞ্জের গুদাম থেকে প্রেরিত চাল একদম খাবার অযোগ্য। গুদামজাত করার সময় দেখি পচা, ভাঙ্গাচোরা চাল প্রতিটি বস্তায়।

তিনি বলেন, জেলা খাদ্য কর্মকর্তাসহ খাদ্যবিভাগের একটি উচ্চপযার্য়ের তদন্ত কমিটি এ চাল পরীক্ষা করে খাবার অযোগ্য বলে চিহ্নিত করেন।

এ ব্যাপারে ফকিরগঞ্জ খাদ্যগুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেসমিন আকতার জানান, চালের অভিযোগের ব্যাপারে জেনেছি, ফেরত আসার পর টেকনিক্যাল তদন্তের আলোকে বাস্তবতা জেনে সঠিক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দোষী যেই হোক তদন্তের মাধ্যমে তার বিচার হবে। কুড়িগ্রাম থেকে নিম্নমানের এসব চাল ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2