avertisements 2

খুলনায় ‘লকডাউন’ নিয়ে চলছে ভেল্কিবাজি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:১৮ এএম, ২২ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫২ এএম, ৬ মার্চ, বুধবার,২০২৪

Text

সরকারের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রামণ থেকে রক্ষার জন্য একের পর লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে। মাঠে কাজ করছেন পুলিশ ও প্রশাসন। কিন্তু সাধারণ মানুষ লকডাউনের সঙ্গে খেলছে ভেল্কিবাজি ।

খুলনা মহানগরী ও উপজেলা পর্যায়ের প্রধান সড়কগুলোতে কঠোর ভাবে লকডাউনের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে ভিন্ন চিত্র মাছ ও কাঁচা বাজারগুলোতে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই মানা হচ্ছে না। এছাড়া ইফতারির পরপরই অলিগলিতে জমছে আড্ডা। চলছে চা চক্র।

খুলনা মহানগরীর মুহসিন মোড় কাঁচাবাজার, সোনাডাঙ্গার ট্রাক টার্মিনালস্থ কাঁচা বাজার, গল্লামারি বাজার, আড়ংঘাটা বাইপাস মাছের আড়ত, দৌলতপুর বাজার, বয়রা বাজার, খালিশপুর বাজার, সন্ধ্যা বাজার, রূপসা বাজারগুলোতে লকডাউনের কোন বালাই চোখে মিলবে না।

বেশিরভাগ বাজারগুলোতে প্রবেশ পথে নেই হ্যান্ড স্যানেটাইজারের ব্যবস্থা। ক্রেতা ও বিক্রেতার মুখে মাস্ক থাকে না। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা গাঁ ঘেঁষে ঘেঁষে চলছে কেনাকাটা।


শহরে রিকশা ভ্যান  চলছে রীতিমত  ছবিঃ সংগৃহীত

নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও অফিসগুলো লকডাউনের আওতায় কঠোর ব্যবস্থা নিলেও সেই তুলনাই এসব বাজারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন ওয়ার্ডের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইফতারির পরপরই বিভিন্ন মোড়ের চা ও মুদি দোকান খুলে দেওয়া হচ্ছে। চলছে রীতিমত আড্ডা। আলোচনায় থাকে লকডাউনের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে। কাজের বেলায় ঠনঠন ।এছাড়া অনেক এলাকায় মাঠের মধ্যে সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত যুব সমাজের আড্ডা দেয়।

সম্প্রতি নগরীর দৌলতপুর, পাবলা, খালিশপুর ও সার্কিট হাউজের মোড়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে দুর্বৃত্তদের হামলায় ৪-৫ জন গুরুতর আহতসহ একজন খুনও হয়েছে। সরকারের কঠোর লকডাউনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন অবস্থার কারণে হতাশ সাধারণ মানুষ। কারণ লকডাউনের সঙ্গে এক প্রকার লুকোচুরি খেলা হচ্ছে। দিনের বেলায় প্রধান সড়কে পুলিশের টহল ঠিক রাতের সন্ধ্যার পর আগেকার মতো সব স্বাভাবিক ভাবে চলছে।

খুলনা জেলা প্রশাসন ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সূত্র জানায়, লকডাউন বাস্তবায়নে এবং করোনার সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরীতে প্রতিদিন সকালে ৩টি এবং বিকালে ৩টি টিম অন্তত ১২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে টহল দিচ্ছেন।

পাশাপাশি খুলনার ৯টি উপজেলাতেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের টিম কাজ করছে। কেএমপির পক্ষ থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২৬টি চেক পোষ্ট, ১০টি মোবাইল পেট্রোল টিম এবং ডিবি পুলিশের ২টি মোবাইল টিম কাজ করছেন।

তাদের দাবি, লকডাউনের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তারা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন। প্রতিদিন মামলা ও জরিমানা আদায় করে মানুষদের সচেতন করা হচ্ছে।

খুলনা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী এ প্রতিনিধিকে বলেন, নগরীসহ উপজেলা পর্যায়ে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রতিনিয়ত কাজ করছে। মামলার সঙ্গে আদায় করা হচ্ছে জরিমানা।

তিনি দাবি করেন, সাধারণ মানুষকে মামলা ও জরিমানা করার ফলে তারা ঘর থেকে কম বের হচ্ছে।

কেএমপির মিডিয়া শাখার এডিসি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা জনগণকে লকডাউনের আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা কওে যাচ্ছি। কাঁচা বাজার, মাছবাজার এবং গলিতে টহল জোরদারসহ মোবাইল টিমকে আরও বেশি সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দিয়েছি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2